আইপিএলের জন্মদিন /
১৮ আসরে রান করা ও উইকেট সংগ্রহে শীর্ষ পাঁচ
১৮ এপ্রিল, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৮তম জন্মদিন। ক্রিকেটে বহু পরিবর্তন এনেছে এই আইপিএল। যে নাটকীয়তা শুরু হয় শুরুর ম্যাচ থেকেই। কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ওপেনিং ম্যাচেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) বিপক্ষে মাত্র ৭৩ বলে ১০টি চার এবং ১৩টি ছক্কায় এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম আলোকিত করেছিলেন। সেই ইনিংস ক্রিকেট উৎসবের আগমনের ঘোষণা দিয়েছিল, যেটি এখনো চলমান।
গত ১৮ আসরের হিসাবে আইপিএলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বিরাট কোহলি। শুধুমাত্র একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি বেঙ্গালুরুতেই খেলেছেন তিনি। কোহলি ২৫৮ ম্যাচে আটটি সেঞ্চুরি এবং ৫৮টি অর্ধশতকসহ ৮ হাজার ২৫২ রান করেছেন। উল্লেখ্য, তিনি আরসিবির হয়ে কখনো একটি মৌসুমও মিস করেননি।
কোহলির ঠিক পরেই আছেন অভিজ্ঞ ভারতীয় ওপেনার শিখর ধাওয়ান। ২২২ ম্যাচে ৬ হাজার ৭৬৯ রান করেছেন তিনি। যদিও কোহলির মতো একটি দলেই পড়ে থাকেননি তিনি। পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজি: মুম্বাই ইন্ডিয়ানস (এমআই), ডেকান চার্জার্স (ডিসিএইচ), সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (এসআরএইচ), দিল্লি ক্যাপিটালস (ডিসি) এবং পাঞ্জাব কিংসে (পিবিকেএস) খেলেছেন তিনি।
ভারতের পাঁচবারের আইপিএল জয়ী অধিনায়ক রোহিত শর্মা ২৬৩ ম্যাচে ৬ হাজার ৭১০ রান করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। তিনি দুটি দলের হয়ে খেলেছেন, ডেকান চার্জার্স ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। উভয় দলের হয়েই ট্রফি তুলেছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার তালিকার চারে। ১৮৪টি ম্যাচে ৬ হাজার ৫৬৫ রান করেছেন তিনি। ওয়ার্নার দিল্লি ক্যাপিটালস এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলেছেন। ২০১৬ সালে তার নেতৃত্বেই শিরোপা জেতে হায়দরাবাদ।
রান তোলার ক্ষেত্রে পঞ্চম স্থানে আছেন অবসর নেওয়া সুরেশ রায়না। চেন্নাই সুপার কিংসের সাবেক এই তারকা ২০৫ ম্যাচে ৫ হাজার ৫২৮ রান করেছেন। চেন্নাই আইপিএল থেকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার হলে তিনি খেলেছেন গুজরাট লায়ন্সের হয়ে।
বোলিংয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট যুজবেন্দ্র চাহালের। ১৬৬ ম্যাচে ২১১ উইকেট তার। তার আইপিএল যাত্রা মুম্বাই ইন্ডিয়ানস দিয়ে শুরু হয়েছিল, কিন্তু আরসিবিতেই তিনি সত্যিকার অর্থে সমৃদ্ধি লাভ করেন। পরে, তিনি রাজস্থান রয়্যালসের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং ২০২৪ সালে পাঞ্জাব কিংস ১৮ কোটি টাকায় তাকে কিনে নেয়।
অভিজ্ঞ লেগ স্পিনার পীযূষ চাওলা ১৯২ ম্যাচে ১৯২টি উইকেট নিয়ে চাহালের পরেই আছেন। দুইবারের আইপিএল জয়ী চাওলা ২০১২ সালে কেকেআরের ফাইনাল জয়ের ম্যাচে ছিলেন এবং ২০২১ সালে চেন্নাইয়ের জয়ী দলেও ছিলেন। তিনি কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব (বর্তমানে পাঞ্জাব কিংস) এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়েও খেলেছেন।
তালিকার তৃতীয় স্থানে আছেন কেকেআরের কিংবদন্তি সুনীল নারাইন। ২০১২ সালে এই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে যোগদানের পর থেকে নারাইন ব্যাট এবং বল উভয় বিভাগেই বিপ্লব এনেছেন। ২০১২ সালে কেকেআরের শিরোপা জয়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সেবার তিনি ২৪ উইকেট নিয়েছিলেন এবং ২০১৪ সালে শিরোপা জেতান আরেক মৌসুমে তিনি ২১ উইকেট নিয়েছিলেন। ২০২৪ সালে নারাইন আইপিএলে স্বপ্নের মৌসুম কাটান। ৪৮৮ রান করার পাশাপাশি শিকার করেন ১৭ উইকেট। আইপিএলের তৃতীয় শিরোপা জিততে যা কলকাতাকে অনেক বড় সহায়তা করে। মোট ১৮৩টি ম্যাচে ১৮৭ উইকেট শিকার করেছেন নারাইন। তিনি তিনবার (২০১২, ২০১৮, ২০২৪) মৌসুমের সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হয়েছেন।
সুইং স্পেশালিস্ট ভুবনেশ্বর কুমার ১৮১ ম্যাচে ১৮৭টি উইকেট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছেন। তিনি আরসিবি, পুনে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়া এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলেছেন এবং দুবার সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীর স্বীকৃতি পার্পল ক্যাপ জিতেছেন। ২১৮ ম্যাচে ১৮৫টি উইকেট নিয়ে শীর্ষ পাঁচে স্থান করে নিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তিনি চেন্নাই সুপার কিংস, দিল্লি ক্যাপিটালস, কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব, রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টস এবং রাজস্থান রয়্যালসের জার্সি পরেছেন।