বিএসএফের গুলিতে আহত বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু, মরদেহ হস্তান্তর

হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৬
শেয়ার :
বিএসএফের গুলিতে আহত বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু, মরদেহ হস্তান্তর

লালমনিরহাট জেলা হাতীবান্ধা উপজেলার সিংগীমারী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আহত হাসিনুর রহমান (২৩) নামে এক বাংলাদেশি যুবক মারা গেছেন। তার মরদেহ বাংলাদেশে দিয়ে গেছে ভারতীয় বিএসএফ।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশ। 

উল্লেখ্য, গত বুধবার রাত ৮টায় ভারতের কোচবিহারের এমজেএন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হাসিনুর। ওই দিন দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাকে গুলি করে আহত করে ধরে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে বিএসএফ।

জানা গেছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের প্রধান পিলার ৮৮১ নম্বর ও সাবপিলার ১৩ এর ভারতের কোচবিহার জেলার শীতলকুচি থানার সীমান্ত ও বাংলাদেশের লালমনিরহাটের পাটগ্রামের খারিজা জোংড়া সীমান্তবর্তী স্থান দিয়ে হাসিনুরের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। এ সময় ভারতের ১৫৭ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের মহেশমারী ক্যাম্পের কমান্ডার রাজ কুমার, শীতলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও বাংলাদেশের ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের খারিজা জোংড়া ক্যাম্পের প্রতিনিধি সুবেদার রেজাউল ইসলাম, পাটগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাজরুল ইসলাম এবং নিহত যুবকের বাবা জাহিদুল ইসলাম ও চাচা রশিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। 

প্রসঙ্গত, গত বুধবার দুপুরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পিলার ৮৯৪ নম্বর প্রধান ও ৬ নম্বর সাবপিলারের কাছে হাতীবান্ধা উপজেলার সিংগীমারী সীমান্ত এলাকায় গরুর জন্য ঘাস কাটতে যান হাসিনুর রহমানসহ কয়েকজন। এ সময় ভারতের ১৫৭ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ফুলবাড়ি ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা কয়েকটি গুলি ছুঁড়লে হাসিনুর গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে যান আর সঙ্গীরা পালিয়ে আসেন।  

পরে বিএসএফ সদস্যরা হাসিনুরকে রাইফেলের বাট ও হাতে থাকা লাঠি দিয়ে মেরে টেনেহিঁচড়ে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে হাসিনুরকে শীতলকুচি থানার স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যায় অবস্থার অবনতি হলে কোচবিহারের এমজেএন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানে মারা যান হাসিনুর।

পাটগ্রাম থানার (ওসি) আশরাফুজ্জামান সরকার এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।