গাঁজা সেবনের ভিডিও ধারণ করায় যুবককে কুপিয়ে জখম
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে গাঁজা সেবনের ভিডিও ধারণ করার জেরে এক যুবককে কুপিয়ে জখম করেছে মাদক সেবীরা। এ ঘটনায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৩-৪ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই যুবক।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার শ্রীরামপুর প্রাইমারি স্কুলের পিছনের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ইহসানুল হক হোসাইন (২১) উপজেলার বাকুলিয়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের সাইদুল মন্ডলের ছেলে মুন্না, একই গ্রামের মালেকা বেগমের ছেলে রিয়াজ, ইসমাইল হোসেনের ছেলে শাকিল হোসেন রানা এবং বাকুলিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীরের ছেলে সাব্বির হোসেন। এছাড়াও অজ্ঞাত আরো ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের সবার মাদকের সাথে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানান ওই যুবক।
লিখিত অভিযোগে ইহসানুল হক উল্লেখ করেন, গত ৮ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার বাকুলিয়া বেজপাড়ার মাঠে ৭-৮ জন গাঁজা সেবন করে। এ সময় তিনি তাদের গাঁজা সেবনের দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করেন। এ দৃশ্য মাদক সেবীরা দেখে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং ভবিষ্যতে খুনসহ যেকোন প্রকার ক্ষয়ক্ষতি করবে বলে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায়।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে শ্রীরামপুর প্রাইমারি স্কুলের পিছনের রাস্তায় অভিযুক্ত আসামীরা ধারালো দা, লোহার রড, হাতুড়ি, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ইহসানুল হকের পথরোধ করে। পরে তাদের হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে ইহসানুল হককে মাথায় কোপ মেরে গুরুতর আঘাত করে। একই সঙ্গে তাকে লোহার রড, হাতুড় ও বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত ও জখম হয়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’