হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
নারায়নগঞ্জে ২১ বছর আগে সংঘটিত মুরাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। এই ঘটনায় আদালত মাসুম নামের এক ব্যাক্তিকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. মোমিনুল ইসলাম। এ সময় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়।
গ্রেপ্তারি রোয়ানা জারি হওয়ার পর আসামিকে ধরতে কাজ শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরই প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে মাসুমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গতকাল বুধবার বিকেলে র্যাব-১১ এর উপ-অধিনায়ক ও সিপিএসসি কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার মো. ইশতিয়াক হোসাইন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মাসুম ফতুল্লা তল্লা ছোট মজিদ মসজিদ এলাকার আব্দুল আহাদের ছেলে। আর নিহত কিশোর মুরাদ একই এলাকার পনির হোসেনের ছেলে। ২০০৪ সালের আগস্ট মাসে মো: মাসুম'সহ তার সহযোগিরা মিলে মুরাদকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন। পরে এই ঘটনায় মুরাদের মা সাহারা খাতুন বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষে এই রায় ঘোষণা করেন আদালত। এই হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ ২১ বছর পর ১০ এপ্রিল রায় ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মাসুম পলাতক ছিলেন। পরবর্তীতে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব তাকে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন তল্লা ছোট মসজিদ এলাকা হতে গ্রেপ্তার করে।