চরফ্যাশনে সরকারি ক্রয়বিষয়ক সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:৫১
শেয়ার :
চরফ্যাশনে সরকারি ক্রয়বিষয়ক সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত

সরকারি ক্রয়ে অংশীজন অন্তর্ভুক্তি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতে একটি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ হিসেবে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটির (বিপিপিএ) উদ্যোগে ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) বিষয়ে একটি সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা থেকে প্রায় ২৫৫ কিলোমিটার দূরে ভোলা জেলার প্রত্যন্ত উপকূলীয় উপজেলা চরফ্যাশনে সচেতনতা এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা আয়োজন বিপিপিএ’র প্রচেষ্টাকে আরও বাড়িয়েছে। ৪০ জন প্রতিনিধি এতে অংশ নেন।

এর আগে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় বিপিপিএ একটি সভা আয়োজন করে।

বিপিপিএ’র এই উদ্যোগে দেশে অর্থপূর্ণ আলোচনায় দরপত্রদাতা ও ক্রয়কারি উভয়কেই একত্রিত করে আরও অংশগ্রহণমূলক ক্রয় পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য চলমান প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হয়েছে। বিপিপিএ-র বর্তমান কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে উপজেলা-স্তরে একই রকম বেশ কয়েকটি সভার আয়োজন করা হবে। 

চরফ্যাশনের কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিপিপিএ-এর পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. মাহফুজার রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (উপসচিব) মো. সাখাওয়াত হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসনা শারমিন শিথি।

রাজধানী থেকে বহু দূরে এই ধরনের সভা আয়োজনের মাধ্যমে বিপিপিএ সব স্তরের সরকারি ক্রয় অংশীজনের মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক সুশাসন এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রতি জোর দিচ্ছে। 

সরকারি ক্রয়ে ই-জিপির ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে উল্লেখ করে মো. মাহফুজার রহমান বলেন, সব ক্রয়কারীকেই ই-জিপিতে টেন্ডার করতে হবে। সে কারণে দরদাতাসহ ক্রয়কার্যে যুক্ত সকলেরই ই-জিপি সিস্টেম সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকতে হবে। 

দরদাতাগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সরকারি ক্রয়চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ক্রয়কারীর ন্যায় আপনারাও সমান অংশীদার। এজন্য আপনারা সরকারের উন্নয়ন সহযোগী। ক্রয়কারীর সঙ্গে আপনারাও ই-জিপির বাস্তবায়নকারী। তাই আপনারা মাঠ পর্যায়ের বিষয়গুলো ভালো জানেন। সেসব জেনে ই-জিপিকে সময়োপযোগী রাখতে বিপিপিএ তৎপর। অনেক সময় ব্যাংকের মাধ্যমে দরপত্রদাতাগণ তাদের জমাকৃত দরপত্র জামানত ফিরে পেতে সমস্যায় পড়েন। এ সমস্যা নিরসনে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

নিজের টেন্ডার নিজেকেই অনলাইনে জমা দিতে জানতে হবে উল্লেখ করে দরদাতাদের সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘দোকানে পাসওয়ার্ড দিয়ে অন্যের মাধ্যমে টেন্ডার জমা দেওয়া এক বিরাট ঝুঁকির কাজ। এই ঝুঁকি আপনারা কেন নেবেন? ২৪ ঘণ্টায় আপনাদের সহায়তার জন্য আমাদের ই-জিপি হেল্প ডেস্ক রয়েছে। ১৬৫৭৫-এ কল করে ই-জিপি সংক্রান্ত সহায়তা নিতে পারেন।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসনা শারমিন মিথি বলেন, ‘ই-জিপির সুফল অনেক। এর ফলে আমাদের অনেক বাড়তি কাজ কমে গেছে। বিপিপিএ-এর অন্যতম অগ্রাধিকার সরকারি ক্রয়কাজে ই-জিপি’র ব্যবহার বাড়ানোর মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন কাজে গতিশীলতা আনার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা। এ ক্ষেত্রে বিপিপিএ যথেষ্ট ভালো কাজ করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু ই-জিপি’র উত্তরণ চলমান প্রক্রিয়া যার জন্য নতুন ফিচার বা মডিউল যুক্ত করে এর উৎকর্ষ আনা হচ্ছে, সেসবের সঙ্গে সকলকে পরিচিত করা এবং ব্যবহারে উৎসাহিত করা জরুরি। সেইসঙ্গে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়াও অতি আবশ্যক। পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে ক্রয়চুক্তি বাস্তবায়নে এবং সরকারি ক্রয় বিধিমালা, ২০০৮ প্রতিপালন ও ই-জিপি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সকলের অভিজ্ঞতা ও মতামত জানাও এই সিস্টেমকে ব্যবহারোপযোগী করার জন্য জরুরি। সে লক্ষ্যেই আজকের এই কর্মশালা।’