গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞে প্রাণহানি ৫১ হাজার ছাড়াল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৪
শেয়ার :
গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞে প্রাণহানি ৫১ হাজার ছাড়াল

দিনের পর দিন ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলা বেড়েই চলেছে। ইসরায়েলি এই অমানবিক মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি আটকে দেওয়া হচ্ছে ত্রাণ সহায়তা। বুলেট-গোলার আঘাতে ফিলিস্তিনিদের প্রাণহানি তো ঘটছেই। সেই সঙ্গে খাদ্য-পানি-ওষুধ ও চিকিৎসার অভাবেও দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল।

এদিকে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ২৩ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক বলে জানা যায়। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা ৫১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে গত ১৮ মার্চ গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর মাত্র ২৯ দিনে ১৬০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। 

আজ বুধবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা তাদের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ।

কয়েকটি চিকিৎসা সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গতকাল মঙ্গলবার ভোর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ২৩ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া এই অবরুদ্ধ ভূখণ্ড জুড়ে আরও হামলা ও হতাহতের খবর আসা অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৮ মাস আগে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে কমপক্ষে ৫১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং এর পাশাপাশি আরও ১ লাখ ১৬ হাজার ৩৪৩ জন আহত হয়েছেন।

অপরদিকে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, গাজায় প্রকৃতপক্ষে ৬১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। মূলত, তাদের পরিসংখ্যানে ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হাজার হাজার লোককে মৃত বলে ধরে নেওয়া হয়েছে।

এর আগে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের চালানোর পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে পড়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তারপর প্রায় দু’মাস গাজায় শান্তি বজায় ছিল। কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হন এবং আরও ৪ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বরতার শিকার হয়ে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।