এখনো থমথমে মুর্শিদাবাদ
সহিংসতার পর এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ভারতের মুর্শিদাবাদে। সম্প্রতি সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে বিক্ষোভে সহিংস হয়ে ওঠে পশ্চিমবঙ্গের এই অঞ্চল, সহিংসতায় তিনজন নিহতও হয়। সহিংসতা থামানো গেলেও এখনো সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, আপাতত শান্ত মুর্শিদাবাদ। শনিবারের উত্তপ্ত সহিংস পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেই দাবি তাদের। রাজ্য পুলিশের মহাপরিচালক জানান, গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চললেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।
প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মমতা মন্দ্যোপাধ্যায়ও ‘প্ররোচনায় পা না দিতে’ আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ ভাবে, অনুমতি নিয়ে, গণতান্ত্রিক ভাবে আন্দোলন করার অধিকার সকলের আছে। দয়া করে আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না।’
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
পহেলা বৈশাখের আগে সোমবার কিছু দোকান খুলছে সেখানে। ইন্টারনেট পরিষেবা এখনো বন্ধ। জেলার বাসিন্দা ভাস্কর গুপ্ত জানান, ‘মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি এখন থমথমে হলেও শান্ত। গত পরশু থেকে সেই অর্থে সহিংসতা দেখা যায়নি। ১২ এপ্রিলের আগে পর্যন্ত প্রশাসনের ভূমিকা খানিকটা শিথিল দেখালেও এখন পুলিশ যথেষ্ট সক্রিয়। আদালতের রায়ে আধাসামরিক বাহিনীর টহল চলছে।’
গত শনিবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদ। সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে আগেই উত্তেজনা ছড়াচ্ছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ‘৭ তারিখ নিমতিতাতে রেল অবরোধ হয়। ৮ এপ্রিলও রাস্তা অবরোধ হয়। ৯ এবং ১০ এপ্রিল উত্তেজনা না ছড়ালেও ১১ এপ্রিল অশান্ত হয় অঞ্চল। পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। গুলিবিদ্ধ হন এক যুবক। হাসপাতালে ভর্তি হলে পরদিন মারা যান তিনি।’
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
এ ছাড়া আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা দুজনেই সিপিএমের সদস্য ও বাবা-ছেলে। খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।