বিএনপি কর্মী হত্যা মামলার আসামি চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আধিপত্যে বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী সাইজ উদ্দিন দেওয়ানকে হত্যা মামলার আসামি জলিল দর্জিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার রাতে চট্টগ্রাম কোতোয়ালী থানার স্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তিনি হত্যা মামলার ৮ নম্বর এজাহারভূক্ত আসামি।
আজ সোমবার সকালে র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।গ্রেপ্তার জলিল দর্জি রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের আলী ইসলাম দর্জির ছেলে।
এজাহারের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, ভিকটিম সাইজ উদ্দিন স্পেন প্রবাসী ছিলেন।পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ৭ এপ্রিল পরিকল্পিতভাবে বাদী হানিফ দেওয়ানের ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া ও তার পরিবার লোকজনদেরকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে আসামিরা জড়ো হয়ে রওনা দেয়। এর মধ্যে বাদীর ছোট ভাই সাইজ উদ্দিন তার শ্বশুর বাড়ি থেকে আসছিলেন।পথে তাকে আসামিরা কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে।
পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতাল নেওয়ার সময় আটকে রাখে। এর পর পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ ঘটনায় ৯ এপ্রিল হানিফ বাদী হয়ে ২৬ জনের নাম উল্লেখ ও ১৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকেই আসামিরা পলাতক রয়েছে। এজাহারভূক্ত ও অজ্ঞাত আসামিদের গ্রেপ্তারে কাজ শুরু করে র্যাব।
র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আসামি জলিলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে রায়পুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সাইজ উদ্দিন স্পেন প্রবাসী হলেও বিএনপির সক্রিয় কর্মী।৭ এপ্রিল রায়পুর উপজেলা কৃষকদলের সদস্যসচিব জিএম শামীম ও উপজেলা বিএনপির সদস্য ফারুক কবিরাজের অনুসারী ফারুক গাজীর লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
ঘটনার সময় সাইজ উদ্দিনকে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে হাসপাতাল নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। ঘটনার পর ১৬ নেতাকর্মীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করে উপজেলা বিএনপি।