বিএনপি নেতার হুমকিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বন্ধ হলো বৈশাখী মেলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় এক বিএনপি নেতার হুমকিতে আয়োজকরা বৈশাখী উৎসব ও মেলা স্থগিত করেছেন। এ বিষয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে আজ রবিবার একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
আখাউড়ার ধলেশ্বর গ্রামের রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগারের সদস্য মো. রনি চৌধুরীর দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, ২০১২ সাল থেকে পাঠাগারের আয়োজনে বাংলা নববর্ষে নিয়মিত বৈশাখী উৎসব ও মেলা হয়ে আসছে এলাকায়।
প্রতিবারের ন্যায় এই বছরও গ্রামবাসীর সহায়তায় পাঠাগার প্রাঙ্গনে বৈশাখী উৎসব ও মেলা আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যানারসহ সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হয়। এছাড়া মেলার বিষয়টি লিখিত ভাবে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করে তাদের মেলায় আমন্ত্রণ জানানো হয়। এর মধ্যে গত ১১ এপ্রিল আখাউড়ার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের কেন্দ্রীয় মসজিদে জুম্মা নামাজের সময় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহনোয়াজ খান ওই মেলার বিরুদ্ধে মুসুল্লীদের উদ্দেশ্য বক্তৃতা করে বলেন, বৈশাখী মেলা অনৈসলামিক ও গুনাহর কাজ। তাই এখানে মেলা করা যাবে না। যদি কেউ করার চেষ্টা করেন তাদেরকে প্রতিহত করা হবে।
এদিকে আয়োজকরা জানান, শাহনোয়াজ খানের হুমকি ও উষ্কানি মূলক তৎপরতার ফলে এলাকায় অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির আশঙ্কায় পরদিন রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগারের ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক শিরীন আক্তার মেলা স্হগিত করার ঘোষনা দেন।
মেলা স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছেন জানিয়ে শিরিন আক্তার জানান, সরকার এবার শুধু নববর্ষেই নয়, চৈত্রসংক্রান্তি পালন করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই ক্ষেত্রে একজন স্থানীয় নেতার এরকম উর্দ্ধত্যপূর্ণ আচরণ জাতীয় অনুষ্ঠানের চেতনাকে আহত করেছে।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহনোয়াজ খানকে ফোন করলে তিনি ইউএনও অফিসে মিটিংয়ে আছেন বলেন জানান। বলেন, মেলার বিষয়ে ওসি তদন্ত করে এসেছেন তার কাছ থেকেই জানতে পারবেন।
আখাউড়া থানার ওসি সমি উদ্দিন জানান, এলাকার লোকজনই মেলা স্থগিত করেছে।
