মেঘনা আলমের আটকাদেশ কেন বেআইনি নয়, জানতে চান হাইকোর্ট
মডেল মেঘনা আলমের আটকাদেশ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং তাকে মুক্তির কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না—তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ রবিবার এক রিট আবেদনের শুনানিতে এ আদেশ দেন বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদির হাইকোর্ট বেঞ্চ।
মডেল মেঘলা আলমকে যে প্রক্রিয়ায় বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে, তা অসাংবিধানিক ও মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থ কেন নয়—সেটিও রুলে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
রুলের জবাব দিতে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, আইজিপিকে বলা হয়েছে।
মেঘনা আলমের আটকাদেশ চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনটি করেন তার বাবা বদরুল আলম। পরে পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
বদরুল আলমের অন্যতম আইনজীবী কাজী জাহেদ ইকবাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে যদি কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে, তাহলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু বিশেষ ক্ষমতা আইনে কেন আটকাদেশ দেওয়া হলো? আমরা মনে করি, একটা অস্পষ্ট অভিযোগের ওপর ভর করে তাকে আটকাদেশ দেওয়া হয়েছে। এ কারণে এই আটকাদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।’
এর আগে গত ৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে মেঘনা আলমকে আটক করা হয়। সৌদি রাষ্ট্রদূতকে প্রেমের ফাঁদে ফেলার অভিযোগে প্রতারণার ঘটনায় জড়িত থাকায় মিস আর্থ বাংলাদেশ-২০২০ বিজয়ী মডেল মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গত ১০ এপ্রিল ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।