সরকারি ক্রয় সংস্কারে জোর দিচ্ছে সরকার

অনলাইন ডেস্ক
১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৯:২৭
শেয়ার :
সরকারি ক্রয় সংস্কারে জোর দিচ্ছে সরকার

বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারি ক্রয়ে বার্ষিক ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ ব্যয় করা হয়। এই বিশাল অর্থের অপচয় যাতে না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের যথাযথ এবং সময়োপযোগী বাস্তবায়নের উপর জোর দিয়েছে। প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১৫০০ প্রকল্প বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যদি এই প্রকল্পগুলির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জন করা সম্ভব হয়, তাহলে দেশের অর্থনীতিতে এর বিরাট ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ)-এর পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. মাহফুজার রহমান আজ রবিবার ভোলায় বিপিপিএ-এর কার্যাবলী এবং ই-জিপি বিষয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে এ কথা বলেন।

বিপিপিএর আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ আজাদ জাহান। বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস (বিসিসিপি) কর্মশালার ব্যবস্থাপনা করে। কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন ক্রয়কারী কার্যালয়ের প্রতিনিধি, ব্যাংক প্রতিনিধি, দরপত্রদাতা, সাংবাদিক এবং বিসিসিপি’র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

জনাব মোঃ মাহফুজার রহমান বলেন, বর্তমান সরকার সকল ক্ষেত্রে সংস্কার ও স্বচ্ছতার ওপর জোর দিচ্ছে। সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম সংস্কার হলো সরকারি ক্রয়ের ডিজিটাইজেশন বা ই-জিপি। বর্তমানে, প্রায় ৬৫ শতাংশ সরকারি ক্রয় ই-জিপির মাধ্যমে করা হচ্ছে। আমাদের এটি ১০০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ই-জিপি সিস্টেম ইতিমধ্যেই দেশে এবং বিদেশে প্রশংসা কুড়িয়েছে। এ পর্যন্ত ১১টি দেশ এবং ৫টি আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশের ই-জিপি সিস্টেম এবং এর বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ করেছে। ই-সিএমএস চালু করা হয়েছে যার মাধ্যমে সরেজমিনে প্রকল্প বাস্তবায়নের তথ্য অফিস থেকে পর্যবেক্ষণ করা যায়। এটি ই-জিপি সিস্টেমের সাথে সংযুক্ত। দরদাতাদের অর্থ সরাসরি তাদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হচ্ছে। এছাড়াও, ই-অডিট চালু করা হয়েছে। অনলাইনে দরদাতাদের জমা দেওয়া আর্থিক বিবরণী যাচাই করার জন্য ই-জিপিকে ডিভিএস সিস্টেমের সাথে সংযুক্ত করার কাজ চলছে।’

ই-জিপির বেশ কিছু ইতিবাচক অর্জনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০৭ সালে ৭০ শতাংশ দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা সম্ভব ছিল, যা এখন ১০০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০০৭ সালে দরপত্র বৈধতার প্রাথমিক সময়ের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল, যা ৯৬.৬৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। প্রতিটি দরপত্রের বিপরীতে গ্রহণযোগ্য দরপত্রের গড় সংখ্যা মাত্র ৩ থেকে বেড়ে ১০.৬৮ হয়েছে।