পরকীয়ার জেরে ব্যবসায়ীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা

কচুয়া (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:২০
শেয়ার :
পরকীয়ার জেরে ব্যবসায়ীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা

চাঁদপুরের কচুয়ায় নুরুল হক (৪৫) নামে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার বিতারা ইউনিয়নের উত্তর বিতারা গ্রামে জাহাঙ্গীর খলিফার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নুরুল হক বিতারা গ্রামের খলিফা বাড়ির মৃত সুলতান আহমেদের ছেলে। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে আটক করেছে কচুয়া থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- বিতারা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে জালাল উদ্দিন, সৈকত আলীর ছেলে আমান উল্লাহ্ ও মুসলিমের ছেলে রফিকুল ইসলাম।  

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুকুর আলী প্রবাসে থাকার সুযোগে তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তারের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন কাপড় ব্যবসায়ী নুরুল হক। শুকুর আলী দেশে ফিরে পরকীয়ার সম্পর্ক জানতে পেরে তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দেন। তারপর থেকে নুরুল হকের সাথে তার বিরোধ চলে আসছে। বিরোধের জের ধরেই নুরুল হককে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিহতের স্ত্রী জাহানারা বেগম জানান, গতকাল শনিবার রাতে শুকুর আলী, জালাল, জাহাঙ্গীরসহ তিনজন মিলে নুরুল হককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে জাহাঙ্গীর খলিফার নতুন বাড়িতে নিয়ে যায়। রাতে আমার স্বামী (নুরুল হক) ঘরে ফিরতে দেরি হওয়ায় জাহাঙ্গীর খলিফার নতুন বাড়িতে খোঁজ নিতে গিয়ে দেখি আমার স্বামী রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আমার স্বামীর হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।

নিহতর ভাই আল আমিন ও মহসিন জানান, আমার ভাই নুরুল হক একজন কাপড় ব্যবসায়ী ছিলেন। শুকুর আলী, জাহাঙ্গীর আলম, জালালসহ একদল সন্ত্রাসী আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহভাজন ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। নুরুল হকের স্ত্রী জাহানারা বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

ওসি আরো বলেন, আটককৃত ৩ সন্দেহভাজনের মধ্যে জালাল উদ্দিনকে আসামী করে বাকি ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- পরকীয়ার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। মূল আসামি শুক্কুর আলীসহ আরো যারা হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত তাদেরকে গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।