‘ভালো থেকো প্রিয় সুহাগ’ চিরকুট লিখে ফাঁস নিলেন তরুণী
গাজীপুরের শ্রীপুরে জানালার গ্রিলে ‘ভালো থেকো প্রিয় সুহাগ’ লেখা চিরকুট রেখে ফাঁসিতে ঝুলে আত্নহত্যা করেছেন তানজিনা আক্তার (২৫) নামের এক পোশাকশ্রমিক।
গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে ঘরের দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে তানজিলার লেখা চিরকুটটি উদ্ধার করা হয়।
চিরকুটে মাকে উদ্দেশ্য করে ওই তরুণী লিখেছেন, ‘আমি তানজিনা আক্তার, আমি নিজ ইচ্ছায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্নহত্যা করতেছি। আমার পরিবার, বাড়িওয়ালা কেউ দায়ী নয়।’
তিনি আরও লিখেছেন,‘আমি এমন একজনকে ভালোবাসি, না পারি তাকে কিছু বলতে, না পারি কিছু করতে। তাই আমি চিন্তা করে দেখলাম যে আমার বাঁচার অধিকার নাই। তাই মৃত্যুকে জয় করে চলে গেলাম। ইতি তানজিনা। ভালো থেকো তুমি তোমার মহারানি তানিয়াকে নিয়ে।’
তানজিনা আরও লেখেন, ‘অনেক ভালোবাসতাম বলে তুমি আমাকে এই পৃথিবী থেকে বিদায় দিলে। ভালো থেকো প্রিয় সুহাগ।’
নিহত তানজিনা আক্তার গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামের মো. সরাফত আলীর মেয়ে। তিনি উপজেলার আবদার গ্রামের জনৈক বাদশা মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থেকে ভালুকা উপজেলায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
স্থানীয়রা জানান, তানজিনা সুহাগ নামের একটি ছেলের সঙ্গে প্রেম করতো। কিন্তু সুহাগের সঙ্গে তানিয়া নামের অন্য আরেকটি মেয়ের সম্পর্ক ছিল।প্রেমিকের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে সে আত্নহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।তানজিলার চোখে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
নিহতের মা জেসমিন জানান, তার মেয়ে ওই বাসায় থেকে চাকরি করতো। শনিবার রাত আটটার দিকে শুনতে পান, সে (তানজিনা) আত্নহত্যা করেছে। গিয়ে মেয়ের মরদেহ দেখতে পান তিনি।
পরে তার লিখা চিরকুট থেকে জানতে পারেন, তানজিনা সুহাগের সঙ্গে প্রেম করতো। ওই ছেলের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে সে মৃত্যুর পথ বেছে নেয়, যোগ করেন নিহতের মা।
জানতে চাইলে শ্রীপুর থানার পরিদর্শক মো. জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, এ বিষয়ে থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।