রাজৈরে আতশবাজি ফোটানোকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর দু’পক্ষের সংঘর্ষ

রাজৈর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫১
শেয়ার :
রাজৈরে আতশবাজি ফোটানোকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর দু’পক্ষের সংঘর্ষ

মাদারীপুরের রাজৈরে আতশবাজি ফোটানোকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর দু’পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে দুই ওসিসহ আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। 

গতকাল শনিবার রাত ৯টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত রাজৈর উপজেলার বেপারীপাড়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের মধ্যে ৮ জনই পুলিশ সদস্য।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার, ২রা এপ্রিল রাজৈর উপজেলার বদরপাশা গ্রামের আতিয়ার আকনের ছেলে জুনায়েদ তার বন্ধুদের সঙ্গে ঈদের আনন্দে আতশবাজি ফোটান। এতে বাধা দেন একই গ্রামের মোয়াজ্জেম খানের ছেলে জোবায়ের খান ও তার বন্ধুরা। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জেরে পরদিন গত বৃস্পতিবার, ৩ এপ্রিল সকালে রাজৈরের বেপারীপাড়া মোড়ে জোবায়েরকে একা পেয়ে পিটিয়ে ডান পা ভেঙে দেন জুনায়েদ ও তার লোকজন। পরে আহত জোবায়েরের বড় ভাই সালমান খান অনিক বাদী হয়ে জুনায়েতকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নামে রাজৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় অনিক রাজৈর বাজারে গেলে ধাওয়া দেন জুনায়েদ ও তার বন্ধুরা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ। এ সময় ককটেল ফাটিয়ে বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাংচুর করা হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সেনাবাহিনীও। সংঘর্ষে রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ খান, পরিদর্শক সঞ্জয় কুমার ঘোষসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। 

পশ্চিম রাজৈর গ্রামের এমারত আকন জানান, আজ রবিবার সকাল ১০টার দিকে বিবদ্যমান বদরপাশ ও পশ্চিম রাজৈর গ্রামের নেতৃস্থানীয় লোকজন বসে আলোচনায় মীমাংসার কথা চুড়ান্ত হয়েছে। আশাকরি সমাধান হয়ে যাবে।

রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ খান জানান, সংঘর্ষে থানা পুলিশের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ টহলও দিচ্ছে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করেছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।