ছাত্রীদের শোবার কক্ষে সিসি ক্যামেরা, কওমি মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা
ছাত্রীদের শোবার কক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের অভিযোগে যশোরের শার্শা উপজেলার ফাতিমাতুজ্জোহরা কওমি মহিলা মাদ্রাসাটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আজকের মধ্যে মাদ্রাসার সব ছাত্রী তাদের নিজ পরিবারে কাছে ফিরে যেতে হবে।
তবে মাদ্রাসাটি ভবিষ্যতে খোলা হবে কি না, তা বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেবে। একইসাথে এখন থেকে দেশে আর কোনো কওমি মহিলা মাদ্রাসায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা যাবে না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন বোর্ডের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে গতকাল শুক্রবার শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এক ম্যারাথন সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় মাদ্রাসাটির পরিচালক মাওলানা তরিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। তিনি নিজের ভুল স্বীকার করে লিখিত দিয়েছেন।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী নাজিব হাসান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় তার দপ্তরে ওই সভা শুরু হয়। সভায় যশোর থেকে প্রায় ৩০ জন মাওলানা অংশ গ্রহণ করেন।
সভায় কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নেতৃবৃন্দ বলেন, তারা বিষয়টি নিয়ে খুবই বিব্রত। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে আর না ঘটে, সে ব্যাপারে বোর্ডের পক্ষ থেকে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাওলানা আনোয়ারুল কমির যশোরী ও মাওলানা নাসিরুদ্দিন। এছাড়াও যশোর নাভারণ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মাদ্রাসাটিতে ছাত্রীদের শোবার কক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যাপারে যশোর পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেন এক অভিভাবক। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার বিকেলে ওই মাদ্রাসায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ানের নেতৃত্বে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় মাদ্রাসা থেকে ১৬টি সিসি ক্যামেরা অকেজো করে মূল মেশিনটি জব্দ করে নিয়ে যায় পুলিশ।