ডিটেনশন আইনে কারাগারে মডেল মেঘনা আলম
মিস আর্থ বাংলাদেশ বিজয়ী মডেল মেঘনা আলমকে ডিটেনশন আইনে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, এদিন রাত সাড়ে ১০টায় আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশ। পরে আদালত আদেশ দেন।
আদেশে বলা হয়, ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২ (এফ) ধারার জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী ক্ষতিকর কার্য থেকে নিবৃত্ত করার জন্য এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে আবশ্যক অনুভূত হওয়ায় ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(১) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে মেঘনা আলমকে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এই আটকাদেশ স্বাক্ষরের তারিখ থেকে ৩০ দিন কারাগারে আটক রাখার আদেশ প্রদান করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে, গত বুধবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে মেঘনা আলমের লাইভ চলার মধ্যেই তার অভিযোগ অনুযায়ী বাসার ‘দরজা ভেঙে’ পুলিশ পরচয়ধারীরা ভেতরে প্রবেশের পরপরই লাইভটি বন্ধ হয়ে যায়। ১২ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা লাইভটি এরপর ডিলিটও হয়ে যায়।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
ডিটেনশন আইনে সরকার কোনো ব্যক্তিকে আদালতের আনুষ্ঠানিক বিচার ছাড়াই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আটক বা বন্দি করতে পারে। এই ধরনের আইন সাধারণত জননিরাপত্তা, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে প্রয়োগ করা হয়।
এদিকে, সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যমতে, বাংলাদেশে নিযুক্ত একটি দেশের রাষ্ট্রদূত তার প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে মেঘনা আলমের সঙ্গে বাগদান সারেন। পরে মেঘনা বিষয়টি জানতে পেরে রাষ্ট্রদূতের স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং এনগেজমেন্টের আংটি ফিরিয়ে দেন।
লাইভে মেঘনার অভিযোগ অনুযায়ী, এরপর থেকে ওই রাষ্ট্রদূত ব্যক্তিগত ও অভ্যন্তরীণ বিষয়াদি নিয়ে তাকে হয়রানি করছিলেন। এর মধ্যে এক রাতে তার বাসায় ৭-৮ জন ব্যক্তি উপস্থিত হয়ে তাকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ করেন মেঘনা।
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
গোয়েন্দা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিষয়টি এরই মধ্যে ভাটারা থানা পুলিশ এবং গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) নজরদারিতে রয়েছে এবং তারা আইনগত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এ বিষয়ে আইজিপিও অবগত রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন মেঘনা আলম। পরিবেশকে রক্ষা করতে ফেলে দেয়া প্লাস্টিক দিয়ে নতুন পণ্য বানিয়ে এবং তা বিক্রয়ের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তা তৈরি করে নারীদের স্বাবলম্বী করার প্রচেষ্টায় এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।