দখল হওয়া পাবলিক স্পেস উদ্ধারে অভিযান চালাবে ডিএনসিসি
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) দখল হওয়া খাসজমি, খেলার মাঠ ও পার্ক উদ্ধারে দ্রুত অভিযান চালাবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মধুবাগ কমিউনিটি সেন্টারে অঞ্চল-৩ এর বাসিন্দাদের সঙ্গে আয়োজিত গণশুনানিতে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ‘দখল হওয়া পাবলিক স্পেস উদ্ধারে দ্রুতই অভিযান চালাবে ডিএনসিসি। আমরা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছি। খাসজমিগুলো উদ্ধার করে ছোট ছোট পাবলিক স্পেস করে দেব। ডিএনসিসির সব খেলার মাঠ ও পার্ক সার্বক্ষণিক তদারকির জন্য উন্মুক্ত থাকবে। কোনো ব্যক্তি, ক্লাব বা সংস্থা বিনা অনুমতিতে খেলার মাঠ ও পার্ক ব্যবহার করতে পারবে না। পার্কের ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা এলাকাবাসীকে সম্পৃক্ত করে একটি কমিটি করে তদারকি করবে।’
উল্লেখ্য, নগরবাসীর সমস্যা জানার লক্ষ্যে ডিএনসিসি ১০টি অঞ্চলে গণশুনানির আয়োজন করেছে। এরই অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে অঞ্চল ১, ২ ও ৩–এর সব ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সঙ্গে প্রশাসক গণশুনানি করেছেন।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
মধুবাগের গণশুনানিতে ১৮, ১৯, ২০, ২১, ২২, ২৩, ২৪, ২৫, ৩৫ ও ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের স্কুল-কলেজের শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, বাজার কমিটির নেতারা, সমাজকর্মী, তরুণ প্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশ নেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা গণশুনানিতে ফুটপাত দখল, মশার উপদ্রব, জলাবদ্ধতা, খেলার মাঠ সংকট, স্ট্রিট লাইট বিকল থাকা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দৌরাত্ম্যসহ নানা সমস্যা তুলে ধরেন।
ফুটপাত ও সড়ক দখল নিয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রশাসক বলেন, ইতিমধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে কঠোর অভিযান চালানো হবে। সড়কের দুই পাশে অবৈধ দোকান স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ করা হবে।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
অটোরিকশা ও ইজিবাইক প্রসঙ্গে প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, প্রধান সড়কে চলাচল বন্ধে ডিএমপি ট্র্যাপার বসানো শুরু করেছে। কেউ ট্র্যাপার উপেক্ষা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিয়মিত মশার ওষুধ ছিটানো ও পরিছন্নতার কাজ করা হয় না উল্লেখ করে এক নাগরিক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে বলেন। জবাবে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ‘মশক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নির্দিষ্ট এরিয়াভিত্তিক কাজের যে দায়িত্ব দেওয়া হবে, নাম, ফোন নম্বরসহ সেটির তালিকা ডিএনসিসির ওয়েবসাইটে দেওয়া থাকবে। আগামী সপ্তাহ থেকে এটি বাস্তবায়ন হবে। আপনাদের এলাকায় কাজ না করলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া যাবে। দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রশাসক আরও বলেন, ‘সবাইকে যুক্ত করে সমস্যা চিহ্নিত করা এবং সেটি সমাধানের লক্ষ্যে আমরা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে যাচ্ছি। আগামী দিনে ‘‘সবার ঢাকা অ্যাপ’’ চালু হবে, যেখানে সরাসরি অভিযোগ জানানো যাবে। জনগণের প্রশ্নের উত্তর দিতে আমরা আবারও এলাকায় ফিরে আসব।’
গণশুনানিতে আরও উপস্থিত ছিলেন অঞ্চল-৩–এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ উল মোস্তাক, নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আলম, কর কর্মকর্তা মো. শাহেদ জোহার, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আজিজুন নেছা, সহকারী প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আরাফাত হোসেনসহ ডিএনসিসির বিভিন্ন কর্মকর্তা।