বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে এথেন্সে বিক্ষোভ
বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে। একদিনের ধর্মঘটে শহরটির ফেরি, বিমান ও ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। রাজধানীর বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রণকারী নাবিক ও রেল শ্রমিকদের পাশাপাশি, নগর কর্তৃপক্ষের কর্মী এবং বাস ও মেট্রো কর্মীরাও পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। এতে স্থবির হয়ে পড়ে সব যোগাযোগ ব্যবস্থা।
গ্রিস ২০০৯-২০১৮ সালের ঋণ সংকট থেকে বেরিয়ে এসেছে। তবে তা করতে গিয়ে দেশটির কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর মজুরি ও পেনশন ব্যাপক কমিয়ে আনা হয়েছিল। সে সময় প্রায় ২৯০ বিলিয়ন ইউরোর বেইলআউটের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়।
এ বছর গ্রিসের অর্থনীতিতে ২.৩ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে, যা অভিন্ন মুদ্রার ইউরোজোনের অন্যান্য অর্থনীতিকেও ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
গ্রিসের রক্ষণশীল সরকার ২০১৯ সালে মাসিক ন্যূনতম মজুরি ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে ৮৮০ ইউরো করেছে। তবে দেশটির সবচেয়ে বড় শ্রমিক ইউনিয়নগুলো জানিয়েছে, দ্রুত বর্ধনশীল খাদ্য, বিদ্যুৎ ও আবাসন ব্যয়ের জন্য অনেক পরিবারকে এখনো জীবিকা নির্বাহ করতে লড়াই করতে হচ্ছে।
বুধবার কেন্দ্রীয় সিনটাগমা স্কয়ারে বিক্ষোভে যোগ দিয়ে বেসরকারি খাতের কর্মীদের প্রতিনিধি দিনা গকোগকাকি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘শ্রমিকদের বেতন মাসের মাত্র ১০ বা ১৫ তারিখ পর্যন্ত চলে, এটি বাসস্থান, খাদ্য, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের মতো মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারছে না।’
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
গ্রিসের শ্রমিক সংগঠন ‘জেনারেল কনফেডারেশন অব গ্রিক ওয়ার্কার্স’-এর সদস্য সংখ্যা ২০ লাখেরও বেশি। মুদ্রাস্ফীতির কারণে গ্রিক শ্রমিকরা ২০১৯ সালের তুলনায় ১০% কম পণ্য কিনছে বলে সংগঠনটি জানিয়েছে। তারা উল্লেখযোগ্য বেতন বৃদ্ধি ও যৌথ শ্রম চুক্তির আহ্বান জানিয়েছে।