পয়লা বৈশাখের পর মিরপুরে শুরু হবে উচ্ছেদ অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৯ এপ্রিল ২০২৫, ২৩:২২
শেয়ার :
পয়লা বৈশাখের পর মিরপুরে শুরু হবে উচ্ছেদ অভিযান

পয়লা বৈশাখের পরে মিরপুরে ফুটপাত ও সড়ক অবৈধ দখলমুক্ত করতে অভিযান করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডে ডিএনসিসির অঞ্চল ২ এর কার্যালয়ের সভা কক্ষে ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের নিয়ে গনশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। নগরবাসির সমস্যার কথা জানতে এ গণশুনানির আয়োজন শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। 

এসময় স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের এলাকার নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে- মশার উৎপাত, ফুটপাত বেদখল, খাল উদ্ধার, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার দৌরাত্ম্য, খেলার মাঠ ও সড়ক দখল মুক্ত করা।

পহেলা বৈশাখের পর মিরপুর ১ থেকে ১৩ নম্বর পর্যন্ত সকল সড়ক ও ফুটপাতের অবৈধ দোকান-স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে বলে জানান ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক। তিনি বলেছেন, ‘ফুটপাত ও রাস্তা দখলকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনা করা হবে। জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করে ফুটপাত ও রাস্তায় কোন ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না। আমরা টানা অভিযান পরিচালনা করবো। ফুটপাতের ও সড়কের সকল অবৈধ দোকান ও মালামাল জব্দ করা হবে।’

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘আমরা ন্যায্যতার ভিত্তিতে একটি শহর গঠন করতে চাই। আজকে যেসব সমস্যার কথা বলা হয়েছে তার অধিকাংশ বিষয়ে আমি অবগত। আমরা এসব সমস্যা সমাধানে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। আপনাদের সাথে আলাপ করে অগ্রাধিকার অনুযায়ী সমস্যাগুলো সমাধান করতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মতামত ও পরামর্শগুলো সরাসরি জানতে আমি প্রতিটি ওয়ার্ডে যাচ্ছি। আপনারা যেগুলো তুলে ধরেছেন এর বাহিরে আরও যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো আপনারা আমাকে লিখিত আকারে দেন। আমাদের ফেসবুক পেইজে লিখেন। আমরা ব্যবস্থা নিব।’

এসময় তিনি সিটি কর্পোরেশনের বন্ধ থাকা সবার ঢাকা এপটি পুনরায় চালুর কথা জানান৷ ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার বিরুদ্ধে ধাপে ধাপে সমাধান করার কথা উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য, ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলেই গণশুনানিতে অংশ নিবেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। গতকাল থেকে অঞ্চল-১ এ গণশুনানির মাধ্যমে শুরু হয়েছে, ধারাবাহিকভাবে সব অঞ্চলে হবে।

গণশুনানিতে অঞ্চল ২ এর সব ওয়ার্ডের আওতাধীন স্কুল-কলেজের শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, বাজার কমিটির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক ও নেতৃবৃন্দ, সোসাইটির নেতৃবৃন্দ, যুবক ও ছাত্র প্রতিনিধি এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।