সরকারি ক্রয় আইন সংশোধন হচ্ছে

অনলাইন ডেস্ক
০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২১:৪৬
শেয়ার :
সরকারি ক্রয় আইন সংশোধন হচ্ছে

সরকার ইলেকট্রনিক গর্ভনমেন্ট প্রকিউরমেন্ট বা ই-জিপি সিস্টেম আধুনিকীকরণে অগ্রাধিকার দিয়েছে। শিগগিরই সরকারি ক্রয় আইনেও প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে যাচ্ছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালযয়ের অধীন বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটির (বিপিপিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মির্জা আশফাকুর রহমান, ‘বিপিপিএ কার্যাবলী এবং ই-জিপি সম্পর্কে অভিজ্ঞতা বিনিময়’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে এই কথা বলেন।

আজ মঙ্গলবার মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাইল হোসেন কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বুলবুল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস (বিসিসিপি) কর্মশালাটি পরিচালনা করে। বিসিসিপির ডেপুটি সিইও এবং প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ড. জিনাত সুলতানা উপস্থিত ছিলেন। স্হানীয় ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, দরপত্রদাতা, সাংবাদিক, ব্যাংকার এবং সুশীল সমাজের সদস্যসহ মোট ৭০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।

বিপিপিএ-র উদ্দেশ্য উল্লেখ করে মির্জা আশফাকুর রহমান বলেন, বিপিপিএ বর্তমান সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সরকারি ক্রয়কে আরও ব্যবহারকারীবান্ধব করে তোলার জন্য তৃণমূল স্তরের সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের কাছ থেকে সুপারিশ গ্রহণ করতে কর্মশালা আয়োজন করছে। তিনি ই-জিপিকে অধিকতর কার্যকর করার জন্য ই-জিপির প্রয়োজনীয় সংস্কার আনার বিষয়ে সুপারিশ করার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

বর্তমান অনুকূল পরিবেশের কথা উল্লেখ করে বিপিপিএ সিইও বলেন, ‘সরকার ই-জিপি ব্যবস্থায় সংস্কার আনতে অত্যন্ত আন্তরিক এবং তৎপর। আমরা এমন একটি সরকরি ক্রয় ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই যা আরও ব্যবহারকারীবান্ধব হবে এবং তাই আমাদের অগ্রাধিকার এখন ইতিবাচক পরিবর্তন আনা কারণ এটিই সঠিক সময়।’

বর্তমানে শুধুমাত্র প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বাজেট বরাদ্দ রয়েছে, কিন্তু সমাপ্তির পরে এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনও তহবিল বরাদ্দ করা হয় না উল্লেখ করে তিনি সংশ্লিষ্টদের, বিশেষ করে ক্রয়কারী সংস্থাগুলিকে যেকোনো কাজের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তহবিল চাওয়ার পরামর্শ দেন।

কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা আশফাকুর রহমান বলেন, কাজের মান নিশ্চিত করার জন্য পারর্ফমেন্স গ্যারান্টি বাড়ানো যেতে পারে কি না, তা বিপিপিএ বিবেচনা করবে, তবে এটি দরপত্রদাতাদের উপর বোঝা হতে পারে কারণ এই তহবিলটি দীর্ঘ সময় ধরে আটকে থাকে।

সরকারি ক্রয় আইনের আসন্ন সংশোধনীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন আর কাজ বিক্রি করার কোনো সুযোগ থাকবে না কারণ আইন ও বিধি থেকে ১০ শতাংশের যে মূল্যসীমা তার বিধান বাদ দেওয়া হচ্ছে। তিনি জনগণকে কাজের ক্ষেত্রে কোন ফাঁক-ফোকর দেখলে তা অবহিত করার এবং প্রকাশ করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘সময় এখন পরিবর্তিত হয়েছে, তাই দুর্বল বোধ করার কোনও কারণ নেই।’

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট ৭,৯৯,০০০ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৪০ শতাংশ সরকারি ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে সরকারি ক্রয়ের ৬৫ শতাংশ ই-জিপির মাধ্যমে করা হয়। এত বিশাল বাজেট ই-জিপির মাধ্যমে ব্যয় করা হয় তা বিবেচনা করে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য ই-জিপিতে প্রশিক্ষণ নেয়া অপরিহার্য বলে জোর দেন।