নাঙ্গলকোটে দাখিল পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার জোড্ডা পূর্ব ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীহাস্য নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থী ফারজানা আক্তার রাখি (১৭) গলায় ফাঁস আত্মহত্যা করেন।
গতকাল সোমবার দিবাগত আনুমানিক রাত সাড়ে ৩টার দিকে নিজের ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ফাঁস দেয় রাখি।
ফারজানা আক্তার রাখি উপজেলার শ্রীহাস্য খিলপাড়া আলতাফ আলি হাজি বাড়ির আলমগীর হোসেনের মেয়ে ও শ্রীহাস্য উত্তরপাড়া আনু মিয়ার ছেলে রাসেলের স্ত্রী। রাসেল ও রাখি দুজনই এ বছর দাখিল পরীক্ষার্থী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের রাসেল ও রাখি প্রেমের সম্পর্ক থেকে পরিবারের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে পালিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে রাসেলের পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি। রাখি স্বামী রাসেলের বাড়িতে গেলে রাসেলের পরিবার যৌতুকের জন্য বিভিন্নভাবে নির্যাতন ও নিপীড়ন করত। সর্বশেষ ১০-১২ দিন পূর্বে রাখি রাসেলের বাড়িতে গেলে রাসেলের পরিবার রাখিকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। এই ঘটনার জের ধরে অপমান সহ্য করতে না পেরে সোমবার রাতে বাবার বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে রাখি।
ফারজানা আক্তার রাখির দাদি আয়শা বেগম বলেন, ‘আমার নাতনিকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করত রাসেল ও তার পরিবার। সেজন্য আমি নাতনি আত্মহত্যা করেছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে রাসেলের বাড়িতে গেলে তাকে ও তার পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হক বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। এখনো কারও পক্ষ থেকে থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’