যুক্তরাষ্ট্রকে আরও ১০০ পণ্যকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিতে চায় বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
০৭ এপ্রিল ২০২৫, ২২:৫১
শেয়ার :
যুক্তরাষ্ট্রকে আরও ১০০ পণ্যকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিতে চায় বাংলাদেশ

বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরও ১০০ পণ্যকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিতে চায় বাংলাদেশ। আজ সোমবার ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) জেমিসন গ্রিয়ারকে পাঠানো চিঠিতে এ কথা জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি অগ্রাধিকারমূলক সুবিধা (জিএসপি) প্রত্যাহার করে সব বাংলাদেশি রপ্তানিপণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। অথচ বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর গড়ে মাত্র ৬ দশমিক ১০ শতাংশ হারে শুল্ক আদায় করছে। বিশেষভাবে কাঁচা তুলা ও লোহার স্ক্র্যাপের মতো পণ্যে শুল্কহার যথাক্রমে ০ শতাংশ ও ১ শতাংশ।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় তুলা আমদানিকারক দেশ, যা দেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্পে ব্যবহৃত হয়।

বর্তমানে বাংলাদেশের শুল্কমুক্ত পণ্যের তালিকায় রয়েছে ১৯০টি পণ্য। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই তালিকায় নতুন করে আরও ১০০টি পণ্য যুক্ত করার চিন্তা-ভাবনা চলছে।

২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর স্বাক্ষরিত ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ফোরাম অ্যাগ্রিমেন্টের (টিআইসিএফএ) কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার চিঠিতে বলা হয়, উভয় দেশই বাণিজ্য ও বিনিয়োগে প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করে তা যৌথভাবে দূর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ সব সময় গঠনমূলক সংলাপ ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী এবং যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানিতে যদি কোনো বাধা থাকে, তা দূর করতে প্রস্তুত। এ বিষয়ে ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের বাণিজ্য শাখার সঙ্গে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণে একমত।

চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার শুল্কহার হ্রাস, অশুল্ক বাধা দূরীকরণ ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে এরই মধ্যে নানা সংস্কারমূলক উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আমদানি নীতিমালার হালনাগাদ, কাস্টমস প্রক্রিয়া সহজীকরণ, মেধাস্বত্ব সুরক্ষা এবং ট্রেডমার্ক ও পেটেন্ট নিবন্ধনব্যবস্থার উন্নয়ন। এ ছাড়া দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণে বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি আমদানি চুক্তি, মার্কিন গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে দেশে কারখানা স্থাপনের প্রস্তাব, সয়াবিন, গম ও তুলা আমদানিতে বেসরকারিখাতকে যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি মার্কিন প্রাইভেট ইক্যুইটি ফান্ডকে স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন সেবামূলক খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী করার কাজ চলছে।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে বাণিজ্য সম্পর্ক মজবুত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।