চায়ের দোকানের আড়ালে দেহ ব্যবসা, প্রতিবাদে ৫ হোটেলে অগ্নিসংযোগ
কুষ্টিয়ার মহিষাডাঙ্গায় চায়ের দোকানের আড়ালে গোপনে দেহ ব্যবসা পরিচালনার প্রতিবাদে আন্দোলন করেন ছাত্রজনতা ও স্থানীয়রা। এ সময় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা অন্তত পাঁচটি খাবারের হোটেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
গতকাল রবিবার বিকেল ৩টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা এ হামলা করে।
স্থানীয় ছাত্র ও যুবসমাজের অভিযোগ, মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা কিছু খাবারের হোটেলে দিনের পর দিন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়েদেরকে অর্থের লোভ দেখিয়ে দেহ ব্যবসার পথে ঠেলে দিচ্ছে একদল ব্যবসায়ীরা। এসব খাবারের হোটেলে গোপনে অসামাজিক কার্যকলাপ চললেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ।
একাধিকবার পুলিশি অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে আটক করলেও তারা জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় একই কার্যক্রমে চলিয়ে যাচ্ছেন। এই ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ড এখন একপ্রকার মহামারিতে রূপ নিয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মহিষাডাঙ্গার গজনবীপুর গ্রামের বাসিন্দা শ্যাকম নামের এক ব্যক্তি এই চক্রের অন্যতম হোতা। তিনি একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়ে জেল খাটার পরও একই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার হোটেল ছাড়াও জিয়ার হোটেল, রুহুল, ইকরামুল এবং মহির উদ্দিনের চায়ের দোকানেও গোপনে দেহ ব্যবসা পরিচালিত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
গতকাল রবিবার বিকেল ৩টার দিকে ছাত্রজনতা ও এলাকাবাসী ওই ৫টি হোটেলে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা এই অগ্নিকাণ্ডের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে পুরো এলাকা। পরে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়রা জানান, আমরা এই ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবো। প্রশাসনের উচিৎ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা, তাহলে আর কেউ এমন কাজ করতে সাহস পাবে না।
এ বিষয়ে ইবি থানার ওসি মেহেদী হাসান জানান, খাবারের হোটেলের আড়ালে দেহ ব্যবসা পরিচালনা করার অভিযোগে ৫টি হোটেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।