‘মানবতার শত্রু ইসরাইলকে রুখে দিতে বিশ্ব মুসলিমের ঐক্যের বিকল্প নেই’
মানবতার শত্রু ইসরাইলকে রুখে দিতে বিশ্ব মুসলিমের ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)। দলটি বলছে, ‘বারবার শান্তি চুক্তি একতরফাভাবে লঙ্ঘন করে মানবতার শত্রু ইসরাইল গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা করে হাজারো বেসামরিক মুসলিম নারী, শিশু ও বৃদ্ধকে হত্যা করেছে। তথাপি বিশ্ব মুসলিম নেতৃবৃন্দের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না, এটা খুবই দুঃখজনক।’
আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, ‘মুসলিম বিশ্ব ছাড়া আমেরিকা অচল। তাই মুসলিম ঐক্যই আমেরিকা-ইয়াহুদীদের কুমতলব রুখতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুর্কী সালতানাতের পতনের পর হতে অদ্যবধি শত বছর পেরিয়ে গেলেও যুদ্ধ শেষ হয়নি। ওরা ইসরাইলকে অবৈধভাবে মুসলিমদের ঘাড়ের ওপর চাপিয়ে দিয়ে অঘোষিত ক্রুসেড চালিয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে প্রতিহত করা আমাদের ঈমানি দায়িত্ব।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
জেবেল রহমান গানি ও এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, প্রতীক্ষার প্রহর আর কত লম্বা হবে? যখন আরেকজন খলীফা ওমর অথবা সালাহউদ্দীনের আগমন ঘটবে, যার হাতে মুক্ত হবে বায়তুল মুকাদ্দাস আর ফিলিস্তিনীরা পুনর্বাসিত হবে তাদের বাপ-দাদার বাস্তুভিটায়।
গাজায় ১৮ মাস ধরে ইসরাইলের গণহত্যা চলছে উল্লেখ করে নেতৃদ্বয় আরও বলেন, ‘এখন আর কেউ হতবাক হয় না। মানবতাবিরোধী অপরাধ এখন স্বাভাবিক। বিশ্ব শক্তিগুলো কিছুই করে না। কেবল উদ্বেগের দুর্বল বিবৃতি দেয়। এমনকি এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও চিন্তিত নয়। তারা ফিলিস্তিনিদের ওপর অনাহার ও জনসংখ্যা হ্রাসের যুদ্ধাপরাধে পুরোপুরি সহমত। ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র গাজার জাতিগত নির্মূল পরিকল্পনা করছে। তারা জানে, কেউ তাদের থামাবে না।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
তারা বলেন, মার্কিন নেতৃত্বাধীন যুদ্ধবাজ সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রের বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করতে হবে। মানুষ কিংবা মুসলমান হিসেবে শুধু কর্মস্থল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখলেই দায়িত্ব শেষ হয় না, বরং দল-মত নির্বিশেষে দেশের ছাত্র-জনতাকে একত্র হয়ে রাজপথে নেমে ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে হবে।
নেতৃদ্বয় বলেন, ‘গাজার নিপীড়িত মানুষ যখন রক্তাক্ত, তখন ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেওয়া প্রতিটি বিবেকবান মানুষের দায়িত্ব। খুনি নেতানিয়াহুর রক্তপিপাসু নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া এখন শুধু মানবিক দায়িত্ব নয় বরং ঈমানের দাবি। আমরা হয়তো সরাসরি গাজায় গিয়ে লড়তে পারছি না, কিন্তু নিজেদের দেশে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে তাদের সংগ্রামের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে পারি।’