কার্টনে থাকা খণ্ডিত মরদেহের পরিচয় মিলেছে
ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে গতকাল শুক্রবার ফলের কার্টনে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় পাওয়া খণ্ডিত মরদেহের পরিচয় মিলেছে। তার নাম সবুজ মোল্লা (২৭)।
পরিবারের সঙ্গে সাভারের হেমায়েতপুর যাদুরচর গ্রামে বসবাস করতেন সবুজ মোল্লা। তার বাবার নাম ইউসুফ মোল্লা। তিনি গাজীপুরের একটি প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরননি সবুজ। পরে তার সন্ধান চেয়ে সাভারের মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সবুজের পরিবারের সদস্যরা।
সবুজের ছোট বোন সাথী আক্তার বলেন, ‘সবুজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টায় ঘর থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। যাওয়ার সময় কোথায় যাচ্ছেন, কার কাছে যাচ্ছেন—তা বলে যায়নি। পরে আমরা খবর পাই কেরানীগঞ্জে ও মুন্সিগঞ্জে এক ব্যক্তির খণ্ড খণ্ড লাশ পাওয়া গেছে। আমরা আমার ভাইয়ের খুনিদের বিচার চাই।’
ছেলের এমন পরিণতির কথা এখনো জানতে দেওয়া হয়নি সবুজের মা শাহানাজ পারভীনকে। অপরদিকে ছেলের এমন মৃত্যু মানতে পারছেন না তার বাবা ইউসুফ মোল্লা।
সবুজের সহপাঠীরা বলেন, পিকনিকে যাওয়ার কথা ছিল, সেখানে গেলে হয়তো এমন পরিস্থিতি হতো না।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোহরাব আল হোসাইন বলেন, সবুজের মরদেহের কিছু অংশ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড হাসপাতালে) এবং বাকি অংশ মুন্সিগঞ্জে আছে। এ ছাড়া বিপিআই ক্রাইমসিন, ডিবি পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।
ঢাকার কেরানীগঞ্জের মালঞ্চ এলাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সড়কের পাশ থেকে তিনটি কার্টনে পলিথিনে মোড়ানো অজ্ঞাত এক ব্যক্তির খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। গতকাল সকাল ১০টার দিকে পলিথিনে মোড়ানো মরদেহের একটি খণ্ড কুকুর টেনে নিতে দেখে স্থানীয় লোকজন।
ওই বিষয়টি পুলিশকে জানালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কার্টন ভর্তি মরদেহের অংশগুলো উদ্ধার করে। খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।