স্বপ্নের ক্লিন-গ্রিন-হেলদি চট্টগ্রাম গড়তে চাই: মেয়র শাহাদাত

চট্টগ্রাম ব্যুরো
০৪ এপ্রিল ২০২৫, ২৩:৩০
শেয়ার :
স্বপ্নের ক্লিন-গ্রিন-হেলদি চট্টগ্রাম গড়তে চাই: মেয়র শাহাদাত

 সবাইকে সাথে নিয়ে ক্লিন-গ্রিন ও হেলদি চট্টগ্রাম গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সিটি মেয়ের ডা. শাহাদাত হোসেন। নগরবাসীর সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এমন প্রত্যয়ের কথা জানান। 

গত সোমবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও নাগরিকদের সঙ্গে নামাজ আদায় করেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এরপর নগরীর চকবাজারের কিশলয় ক্লাবে নগরবাসীর সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ঈদের পরদিন মঙ্গলবার নগরীর লাভ লেইনস্থ স্বরণিকা কমিউনিটি সেন্টারে প্রায় ১০ হাজার রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের জন্য চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবানের আয়োজন করেন মেয়র। ফিরনি, পোলাওসহ নানা মুখরোচক খাবারের মাধ্যমে মেয়রের আতিথেয়তা গ্রহণ করেন অতিথিরা। 

একইদিন রাতে কর্ণফুলী নদীতে বে ওয়ান ক্রুজ শিপে নগরীর বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে মিলনমেলার আয়োজন করেন মেয়র। এতে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম সেনানিবাসের জিওসি, নৌবাহিনীর এরিয়া কমান্ডার, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব, জেলা প্রশাসক, সিডিএ চেয়াররম্যান, ভারতীয় দূতাবাসের সহকারী হাইকমিশনার, ডিজিএফআই, এনএসআই এর বিভাগীয় প্রধানসহ চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ বিভিন্ন পেশার বরেণ্য ব্যক্তিরা। 

অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী রবি চৌধুরী, জি বাংলার মীরাক্কেল খ্যাত স্টান্ডআপ কমেডিয়ান কমর উদ্দিন আরমান ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন সংগীত শিল্পীরা।

শুভেচ্ছা বিনিময়কালে ভোটের অধিকার চেয়ে মেয়র বলেন, নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন হয়েছে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে। গত ১৫ বছর ভোটের অধিকার না থাকার কারণে যারা মেম্বার হওয়ার অযোগ্যরাও এমপি হয়ে গেছে। ভোটের অধিকার না থাকার কারণে ভূমিদস্যু, মানব পাচারকারী, ইয়াবা ব্যবসায়ীরা এমপি-মন্ত্রী হয়ে গেছে। ভোট দেওয়ার অধিকার আমাদের সাংবিধানিক অধিকার।

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের অংশ হিসেবে ২০২১ সালের ট্রাইবুনালের মামলায় জিতে মেয়র হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদেরকে বলতে চাই, যেদিন আমার মেয়াদ শেষ হবে আমি আর সাড়ে তিন বছরের জন্য আবেদন করবো না। আমি ভোটের অধিকার চাইবো এবং ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে আমি আমার জনপ্রিয়তা কতটুক আছে সেটা আমি যাচাই করবো। আমি আজকে ঘোষণা দিতে চাই সবার সামনে। অনেকে আমাকে বলছে আপনার তো পাঁচ বছর, যেহেতু গত মেয়রের বৈধতা নেই। আপনি কেন খামাখা সাড়ে তিন বছরে চলে যাবেন? আপনি আবার আবেদন করেন। আপনি পেয়ে যাবেন। আমি বলেছি না। এই ভোটের অধিকারের জন্য আমরা আন্দোলন করেছি। ভোটের অধিকার অবশ্যই সবার থাকা উচিত। তারা নিশ্চিন্তে যাতে ভোট সেন্টারে গিয়ে এই ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে পারে। ’

তিনি বলেন, ‘আমাকে যদি আবারো মেয়র হিসাবে পছন্দ হয় আপনারা ভোট দিবেন। আর যদি আপনারা মনে করেন আমি যোগ্য নই প্রয়োজনে আমাকে আপনারা ভোট দিবেন না। আমি আবার ওই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কর্মী হিসেবে আপনাদের পাশে থাকবো। আন্দোলন সংগ্রামে থাকবো। কোন ভয় আমার নেই। জনগণকে আমরা বিশ্বাস করেছি, জনগণের জন্য আমি রাজনীতি করেছি। আমরা তাই ভোটের অধিকার চাই। আমরা মানুষের মৌলিক অধিকার চাই। কথা বলার স্বাধীনতা চাই।’

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে মেয়র বলেন, ‘আমরা আইনের শাসন চাই। মা বোনের ইজ্জতের নিরাপত্তা চাই। ধর্ষণ যাতে মহামারি আকার ধারণ না করে সে ব্যাপারে শক্ত ভূমিকা নিতে হবে। আপনারা দেখেছেন আমি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হওয়ার পরে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি যেটা ছিল সেটা স্থিতিশীল রাখতে আমি বাজারে বাজারে গিয়ে মনিটরিং করেছি। এই শহরের নিরাপত্তার জন্য আমি কাজ করেছি। শুধু নালা, নর্দমা, খালবিল পরিষ্কার নয় আমাদের এই শহরকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিতে হবে। ’