জুলাই গণহত্যার বিচার বানচালের প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর

অনলাইন ডেস্ক
০৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৯:৪৭
শেয়ার :
জুলাই গণহত্যার বিচার বানচালের প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর

জুলাই-আগস্টে গণগত্যার বিচার বানচালের ষড়যন্ত্রের তথ্য-প্রমাণ হাতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

আজ বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা বাসসকে এ কথা বলেন চিফ প্রসিকিউটর।

তাজুল ইসলাম বলেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় ট্রাইব্যুনালের বিচার বানচাল করতে সুর্নিদিষ্ট অনেক তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে প্রসিকিউশন। একই সঙ্গে চিহ্নিত করা হয়েছে নেপথ্যের কুশীলবদের। যথাসময়ে যড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে গতকাল বুধবার তাজুল ইসলাম জানান, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার মামলার খসড়া তদন্ত রিপোর্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেলেই ফরমাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) দাখিল করা হবে।

গত ২৭ মার্চ তিনি জানান, ৫ আগস্ট রাজধানীর চাঁনখারপুলে পাঁচজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদনের খসড়া প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে। এই প্রতিবেদন শিগগিরই ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে সংঘটিত হত্যা-গণহত্যা, বিগত আমলে গুমসহ নানা ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে এ পর্যন্ত ৩০০টির বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম বাসস-কে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বরাবর জুলাই-আগস্টে গণ-আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত হত্যা-গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ, বিগত ১৫ বছরে গুমের বিভিন্ন অভিযোগ ও ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিল শাপলা চত্বরে পরিচালিত গণহত্যার ঘটনায় এসব অভিযোগ আনা হয়েছে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে বিগত সরকারের শীর্ষ ব্যক্তি ও কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও দলীয় ক্যাডারদের বিরুদ্ধে হত্যা ও গণহত্যার সুনির্দিষ্ট ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ উল্লেখ করে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা ও বিচারের আরজি পেশ করা হয়েছে এসব অভিযোগে।

প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানান, এসব অভিযোগের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৩টি (মিসকেস) মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ১৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ জনের মতো আসামি গ্রেফতার রয়েছেন।

গত জুলাই-আগস্টে গড়ে ওঠা ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে আওয়ামী লীগ সরকার ও তার অনুগত প্রশাসনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব অপরাধের বিচার হচ্ছে।