ঈদগাহে সংঘর্ষে আহত ২০
বরিশালে রমজানে মসজিদে ইফতার না খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের নামাজের আগ মুহুর্তে বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভূতেরদিয়া চৌকিদার বাড়ি সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
এতে দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের জেরে ঈদের নামাজ পরিচালনাকারী ইমাম ঈদগাহ ত্যাগ করলে মুসল্লিরা নামাজ আদায় না করেই বাড়ি ফিরে যান।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে রয়েছেন ইউসুফ (৪৫), মিজান (৪০), বেল্লাল (৩৫), স্বাধীন (১৮), করিম (২৫) সহ আটজন এবং অপর পক্ষের ইব্রাহিম (৪৫), জুয়েল (৪০), মজিবর (৫৫), জাফর (৩৫), রুবেলসহ (৩৮) প্রায় ২০ জন। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উজিরপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
স্থানীয় মুসল্লি পলাশ হোসেন জানান, রমজান মাসসহ প্রায় এক বছর ধরে মসজিদের ইমামের বেতন দেয়নি এলাকার মুসল্লি ইউসুফ হোসেন। এর জেরে মসজিদ কমিটির সদস্য ইব্রাহিম সকলকে রমজান মাসে ইউসুফ হোসেনের দেওয়া ইফতার না খাওয়ার অনুরোধ জানান। রমজানে ইফতার না খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ ঈদের নামাজ শুরু হওয়ার আগ মুহূর্তে ঈদগাহে উপস্থিত মুসল্লিদের কাছে অভিযোগ করেন ইউসুফ।
এ সময় আওয়ামী লীগ সমর্থিত এলাকার নেতা বেল্লাল হোসেনের কাছে ইউসুফ জানতে চান কেনো তার দেওয়া ইফতার তারা খাননি। এ সময় বেল্লাল হোসেন বিষয়টি নামাজের পরে সমাধানের কথা বললে ইব্রাহিম বেল্লালের জামা ধরে টান দেয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। পরে সংঘর্ষের খবর পেয়ে স্থানীয়রা ৯৯৯-এ ফোন করলে বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় স্থানীয় মুসল্লিরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা অভিযোগ করেছেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো হয়েছে। যার ফলে তারা পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে পারেননি। তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলত শান্তি দাবি জানান।
বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আমিনুল ইসলাম আমাদের সময়কে জানান, ‘ইফতারের বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আনুমানিক ২০ জন আহত হয়েছেন। বেশিরভাগই মাথায় আঘাত পেয়েছেন।’