থাইল্যান্ডে ভূমিকম্প, ধ্বংসস্তূপে চলছে প্রাণের সন্ধান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৯ মার্চ ২০২৫, ১৪:৩১
শেয়ার :
থাইল্যান্ডে ভূমিকম্প, ধ্বংসস্তূপে চলছে প্রাণের সন্ধান

মিয়ানমারে হওয়া ভূমিকম্পের প্রভাব থাইল্যান্ড, চীনসহ আশপাশের দেশগুলোতেও অনুভূত হয়েছে। বিশেষ করে থাইল্যান্ডে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে। দেশটিতে ওই ভূমিকম্পের কারণে একটি বহুতল ভবন ধসে সাতজন নিহত হয়েছে। ব্যাংককের ধসে পড়া ওই ভবনে এখনও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংককে প্রায় ১০০ জন নির্মাণশ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন। গতকাল রাতে ব্যাংককের অন্তত দু'টি ভবন খালি করা হয়েছে এবং ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য আজ থেকে স্বেচ্ছাসেবকরা আরও দুই হাজার ভবন পরিদর্শন করবেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, এক দশকের মধ্যে ব্যাংককে এত শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়নি। 

থাইল্যান্ডের সাথে তুলনা করলে দেখা যায় যে মিয়ানমারে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। ইউএসজিএস জানিয়েছে, ১৯৩০ এবং ১৯৫৬ সালের মাঝে সাগাইং ফল্টের কাছাকাছি সাত মাত্রার ছয়টি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছিলো মিয়ানমারে।

অন্যদিকে, থাইল্যান্ড মোটেই ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল নয়। সেখানে যে ভূমিকম্পগুলো অনুভূত হয়, সেগুলোর বেশিরভাগই ঘটে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে। এই কারণেই ব্যাংককের ভবনগুলো শক্তিশালী ভূমিকম্প প্রতিরোধী হিসাবে নির্মিত নয়। তাই, বড় কোনও ভূমিকম্প হলে সেখানে ব্যাপক অবকাঠামোগত ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।