ফাঁকা বুলি নয়, দৃশ্যমান অ্যাকশনে ডিবি: রেজাউল করিম
নিরাপদ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ উদযাপনে ডিবি সর্বদা নগরবাসীর পাশে থাকবে জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক বলেছেন, ‘কোনো ফাঁকা বুলি নয় বরং দৃশ্যমান অ্যাকশনের মাধ্যমেই ডিবি ক্রমাগত নগরবাসীর আস্থার প্রতীকে পরিণত হচ্ছে। নগরবাসীর নিরাপত্তায় ডিবি “ভ্যানগার্ড” হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে এবং যাবে।’
আজ শনিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ডিবি থেকে গৃহীত কার্যক্রম সংক্রান্ত বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ‘ঈদে বাসা-বাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতানের সার্বিক নিরাপত্তায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। পবিত্র মাহে রমজানে নগরবাসী যাতে নিরাপদে ইবাদত করতে পারে সেজন্য আগে যেমন ডিবি পাশে ছিল তেমনি এবারও পাশে থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ঢাকা মহানগর এলাকায় পুলিশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে মহানগরীতে চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৫০টি থানা এলাকায় প্রতিদিন জননিরাপত্তা বিধানে দুই পালায় ডিএমপির ৬৬৭টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করছে।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এছাড়া মহানগর এলাকার নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত স্থানে ডিএমপি কর্তৃক ৭১টি পুলিশি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিপণিবিতান, রেল স্টেশন, বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে কেউ যাতে নাশকতা করতে না পারে সেজন্য ডিবির গোয়েন্দা নজরদারি পূর্বের যেকোনো সময়ের চেয়ে বৃদ্ধি করা হয়েছে।’
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘রোজা শুরুর দিন থেকে এখন পর্যন্ত ডিবির অলআউট অ্যাকশনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছিনতাইকারী, ডাকাত, চাঁদাবাজ ও বিভিন্ন অভ্যাসগত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাছাড়া ডিবির মাদকবিরোধী অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ মাদকসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পেশাদার মাদক কারবারি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছোট বড় যে কোন অপরাধীর ক্ষেত্রে ডিবি জিরো টলারেন্স নিয়ে কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
নগরবাসীর উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন ‘ঈদে মহল্লা, বাসা/মার্কেটে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকলে বা ঘটার সম্ভাবনা থাকলে তা স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি, থানা বা ডিবিকে অবহিত করবেন। তাছাড়া ডিএমপির কন্ট্রোল রুমের নম্বর অথবা ৯৯৯ এ যোগাযোগ করা যেতে পারে।’
এসময় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড গোয়েন্দা-দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম; যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-উত্তর) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভুঁইয়া ও উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।