বদরগঞ্জে বাড়িঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, আহত ৭
রংপুরের বদরগঞ্জ পূর্ব শক্রতার জের ধরে বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় একই পরিবারের নারী ও পুরুষসহ ৭ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গতকাল সকালে মধুপুর ইউনিয়নের কচুয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও গ্রামবাসীর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের কচুয়াপাড়া গ্রামের কৃষক শামছুল হকের সঙ্গে প্রতিবেশী ছয়ের উদ্দিনের দীর্ঘদিন ধরে জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধের জের ধরে ঘটনার দিন সকাল ৯/১০টায় বাদশা মিয়া ও ছয়ের উদিদ্দন বিভিন্ন এলাকা থেকে ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী ভাড়া করে নিয়ে এসে শামছুলের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও তাতে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় বাড়ির লোকজন বাধা দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা তাদেরকে লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে জখম করে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন শামছুল হক, শহিদা বেগম, চানমিয়া, সোনা মিয়া, রাজিয়া বেগম, সালমা বেগমসহ স্কুল ছাত্রী নুপুর। খবর পেয়ে বদরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।
এ বিষয়ে শামছুল হক বলেন, ‘ঘটনার দিন আমার প্রতিপক্ষ বাদশা মিয়া ও ছয়েরউদ্দিন ভাড়াটে লোকজন নিয়ে আমার নির্মাণাধীন পাকা বাড়িতে হামলা করে। তখন তারা আমার পুরনো ঘরে থাকা ৩ লক্ষ টাকা লুটপাট করার পর বাড়িঘর ভেঙ্গে দিয়ে তাতে আগুন লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে বদরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসে লোকজন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর আগেই সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমার বাড়িঘর ভাঙচুর, নগদ টাকা, সোনাদানা লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেই সঙ্গে আমার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আমি ন্যায় বিচার চেয়ে সন্ত্রাসীদের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।’
এদিকে ভুক্তভোগী পরিবারের স্কুল ছাত্রী নুপুর সাংবাদিকদের জানায়, এবার আমাদের ঈদ করতে দিলেন না প্রতিপক্ষরা। আগুন দিয়ে সব পুড়ে ছাই করে দিয়েছে তারা। আমরা এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছি। আমরা এই অন্যায়ের বিচার চাই।
বদরগঞ্জ থানার ওসি একেএম আতিকুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’