প্রকাশ্যে ম্যারাডোনার মৃত্যুর ‘আসল’ কারণ

ক্রীড়া ডেস্ক
২৯ মার্চ ২০২৫, ০০:০০
শেয়ার :
প্রকাশ্যে ম্যারাডোনার মৃত্যুর ‘আসল’ কারণ

আর্জেন্টিনার ফুটবল রাজা ডিয়েগো ম্যারাডোনা প্রয়াত হয়েছেন কয়েক বছর হয়েছে। কিন্তু এই কিংবদন্তির মৃত্যুর আসল কারণ নিয়ে জল্পনা রয়েছে। ম্যারাডোনার মৃত্যুর আসল কারণ খুঁজতে আর্জেন্টিনার আদালতে চলছে শুনানি। সেখানেই একটি তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ। তার দাবি, তীব্র কষ্টে মৃত্যু হয়েছে ম্যারাডোনার। মৃত্যুর আগে অন্তত ১২ ঘণ্টা অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন তিনি।

পরশু ফরেনসিক চিকিৎসক কার্লোস কাসিনেল্লি আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। ম্যারাডোনার দেহের ময়নাতদন্ত করেছিলেন তিনিই। সেই কার্লোস বলেছেন, ‘পুরো হৃদ?যন্ত্র চর্বি এবং জমাট বাঁধা রক্তে পুরোপুরি ঢাকা ছিল। এতেই বোঝা গিয়েছে মৃত্যুর আগে তিনি কতটা কষ্ট পেয়েছেন।’

ময়নাতদন্তের পর জানানো হয়েছিল, ম্যারাডোনা ‘অ্যাকিউট পালমোনারি ওডেমা’র কারণে মারা গিয়েছেন, যা থেকে হৃদযন্ত্র বিকল হয়েছিল। তবে কার্লোসের দাবি, ম্যারাডোনা এমন রোগী ছিলেন না, যাকে বাড়িতেই চিকিৎসা করা যেত। তার ভাষায়, ‘তিনি এমন রোগী ছিলেন যার ফুসফুসে মৃত্যুর অন্তত ১০ দিন আগে থেকে পানি জমেছিল- এটা ঠিক নয়। তার চিকিৎসায় যারা জড়িত ছিলেন তাদের আগে থেকেই এটা বোঝা উচিত ছিল। তদন্তে দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন সাক্ষী জানিয়েছেন, মৃত্যুর সময় ম্যারাডোনার মুখ এবং তলপেট অস্বাভাবিকভাবে ফুলে ছিল। মৃত্যুর আগে বেশ কয়েক দিন তার শরীর একেবারেই ভালো ছিল না।

২০২০ সালের নভেম্বরে মৃত্যু হয় ম্যারাডোনার। তখন থেকেই অভিযোগ উঠেছিল যে, এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। বুয়েনস আইরেসের একটি আদালতে ম্যারাডোনার মৃত্যুরহস্য নিয়ে তদন্ত চলছে। অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন সাতজন, যার মধ্যে ম্যারাডোনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক লিয়োপোল্দো লিউক এবং মনোচিকিৎসক অগাস্তিনা কোসাচভ। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ম্যারাডোনা যে ওষুধ খেতেন, তা কোসাচভের পরামর্শেই।

অভিযুক্তরা দোষী প্রমাণিত হলে আট থেকে ২৫ বছর জেল হতে পারে। গত মঙ্গলবার শুরু হয়েছে শুনানি। আগামী চার মাস পর্যন্ত চলতে পারে এই শুনানি। এতে সাক্ষ্য দিতে পারেন ১০০ জনেরও বেশি।