রামুতে চুরির অভিযোগে চোখ বেঁধে কিশোরকে নির্যাতন

রামু (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
২৪ মার্চ ২০২৫, ১৯:৫৪
শেয়ার :
রামুতে চুরির অভিযোগে চোখ বেঁধে কিশোরকে নির্যাতন

কক্সবাজারের রামুতে চুরির অভিযোগে এক কিশোরের চোখ বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী কিশোর আল আমিনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।

গতকাল রবিবার রাতে রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ধেছুয়াপালং রাবেতা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার আল আমিন ওই এলাকার রমিজ আহমদের ছেলে।

পুলিশ ও গ্রামবাসী জানান, রবিবার রাতে তারাবির নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ১২ বছর বয়সী কিশোর আল আমিনকে তুলে নিয়ে যান ওই এলাকার বাসিন্দা মাহমুদুল করিম রানা ও তার (রানা) বড় ভাই আল ফুয়াদ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক এহেছানুল করিম। এরপর বাড়ির একটি কক্ষে আটকে রেখে চোঁখ বেঁধে কিশোরটিকে শারীরিক নির্যাতন চালায় মাহমুদুল করিম রানা, এহেছানুল করিম ও তার পরিবারের আরও একাধিক সদস্য।

রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ ফরিদ জানান, রবিবার রাতে আল-আমিনের পরিবারের লোকজন জরুরি সেবা ৯৯৯ -এ কল করে। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মারধরের শিকার কিশোর আল আমিনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। শিশুটির পুরো শরীরে রক্তাক্ত আঘাতের অসংখ্য চিহ্ন ছিল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কিশোর নির্যাতনে অভিযুক্ত মাহমুদুল করিম রানা ও এহেছানুল করিমের ভাই আহমেদুল করিম রুবেল কিশোরটিকে মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে জানান, তিনি নয়, তার অপর ভাইয়েরা মারধর করেছে।

তিনি আরও জানান, কিশোর আল আমিন চলতি রমজান মাসে তাদের বাড়ি থেকে ছাগল, বৈদ্যুতিক পাখা, মাছ ধরার জালসহ অনেক মালামাল চুরি করেছে। রবিবার রাতে আবারও চুরি করতে গিয়ে সে হাতেনাতে ধরা পড়ে। এ সময় তাকে মারধর করা হয়। তবে পরে কিশোরটির মা আবারও তাকে মারধর করলে সে বেশি জখম হয়।

রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমন কান্তি চৌধুরী জানিয়েছেন, কিশোরটিকে ব্যাপকভাবে মারধর করা হয়েছে। এখনো কিশোরটির পরিবারের সদস্যরা এ নিয়ে কোনো অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলেই জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।