পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানির তালিকাভুক্তির পথ সহজ করতে হবে: রূপালী হক

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৩ মার্চ ২০২৫, ২০:০৪
শেয়ার :
পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানির তালিকাভুক্তির পথ সহজ করতে হবে: রূপালী হক

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) সভাপতি ও বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী হক চৌধুরী বলেছেন, ‘দেশে অনেক বহুজাতিক কোম্পানি রয়েছে সেগুলো এখনও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়। পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানির অভাব রয়েছে। এজন্য দেশি-বিদেশি কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসার পথ বা বিনিয়োগ করার পথ আকর্ষণীয় হতে হবে। আমাদের আগে করপোরেট কর ব্যবধান ছিল ১৫ শতাংশ। তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত উভয়ের ক্ষেত্রে কোম্পানি আইনটা পর্যালোচনা করা উচিত। আমি শুধু করের বিষয়টা বলছি না। আমাদেরকে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে হবে। তাহলে সে তালিকাভুক্ত হলে সে লাভবান ও সুবিধা পাবে। তখন সে তালিকাভুক্ত হবে।’

আজ রবিবার রাজধানীর পল্টনে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত সিএমজেএফ টক-এ তিনি এ কথা বলেন।

রূপালী চৌধুরী বলেন, ‘সুবিধা না পেলে কেন কোম্পানিগুলো আইপিওতে আসবে। ব্যাংক থেকে ঋণ নেবে। কারণ ব্যাংকে সুদ হার বেশি হলেও ঋণ নেওয়াটা সহজ।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বন্দরের চার্জসহ সব ধরনের সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো ঠিক হবে না। এখন এই মুহূর্তে এই শুল্কগুলো বাড়ানো হলে ব্যবসা-বাণিজ্য কোনও ধরনের মূল্যস্ফীতির চাপ নিতে পারবে না। শুল্ক বাড়ানোর তীব্র প্রতিবাদ করছি আমরা বিএপিএলসি থেকে। তিনি বলেন, তালিকাভুক্ত হলে যদি ভালো সুবিধা না পায়, তাহলে কেন তারা আইপিওতে আসবে। ব্যাংক থেকেই মূলধন সংগ্রহ করবে।’

বিনিয়োগ আকর্ষণে রূপালী চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের দরকার আর্থিক নীতি। এর মধ্যে একটা হলো রাজস্ব সম্পর্কিত। পাশাপাশি অবকাঠামোর উন্নয়ন। অন্যান্য দেশের সঙ্গে যদি আমরা মিলাই তাহলে দেখবো— তাদের লিড টাইম অনেক কম। কিন্তু আমাদের এখানে রাস্তাঘাটের যে অবস্থা তা বলার বাইরে। এই যে কাঁচপুর ব্রিজের ওখানে সমস্যা জ্যাম। সার্বিক অবকাঠামো ভালো, কিন্তু জায়গায় জায়গায় যে জটিলতা আছে, সেখানে আমাকে স্মুথ দক্ষতা আনতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের সরবরাহ লাইন অব্যশই বিশ্বমানের হতে হবে।’

বিএসইসি মন্ত্রণালয়ের কাছে জনবল চেয়েছে এটা কীভাবে দেখছেন—এমন এক প্রশ্নের জবাবে রূপালী চৌধুরী বলেন, ‘বিএসইসি আমাদের সবার অভিভাবক। তারা যেহেতু সংস্কার করছেন, ওনারা যদি কোনও কিছু করতে চান, আমার মনে হয় ওনাদের বক্তব্যটাই নেওয়া উচিত। আমাদের পুঁজিবাজারেও এমন কিছ ঘটনা ঘটেছে যা অনভিপ্রেত। এখন অন্যরা যদি এটাকে ঢেলে সাজাতে চান, যার ফলে ভালো কিছ দিতে পারবেন, এটার কারণ তারাই বলতে পারবেন। আমরা এটাই বলি যে, সংস্কার করে ওনারা যদি ভালো কিছ আনতে পারেন, আমরা তাতে স্বাগত জানাই।’

বিএপিএলসি সভাপতি বলেন, ‘আমরা আমাদের দেশকে ভালোবাসি, তার থেকে বেশি কী থাকতে পারে। আমাদের সব শেষে পড়ে আছে— আমাদের দেশেকে ভালোবাসা। যেখানে সারা বিশ্বে ৫০ শতাংশ লোক দারিদ্রসীমার নিচে। আমাদের একমাত্র মন্ত্র হওয়া উচিত মানুষের জীবনমান উন্নত করা। সেটাই যদি আমার মন্ত্র হয়, আমার একটা মানুষের আর হাজার হাজার কোটি টাকার দরকার হয় না। আমাদের এক জীবনে আমি কত কোটি খাবো আপনি বলেন, কয়টা বিছানাই আমরা একসঙ্গে ঘুমাতে পারবো, কটা বাড়িতে আমরা থাকতে পারবো। সুতরাং আমাদের ভেতরে একটা চেতনা আসতে হবে, আমি দেশের জন্য কিছু করব।’