গ্যাস লিকেজের আগুনে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জে সেহরি রান্না করার সময় সিলিন্ডারের গ্যাস লিকেজ থেকে লাগা আগুনে একই পরিবারের তিন জন দগ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আজ রবিবার ভোর চারটায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে দগ্ধ অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়।
দগ্ধরা হলেন, হারুন অর রশিদ (৬০), রুনা আক্তার (৪০) ও মিম (১৭)।
প্রতিবেশী নুপুর জানান, আজ ভোরে সেহরি রান্না করতে রুনা আক্তার রান্না ঘরে প্রবেশ করে চুলা জ্বালাতে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তার শরীরে আগুন লেগে যায়। এ সময় সে শরীরে আগুন নিয়ে রান্না ঘর থেকে বের হলে তার স্বামী ও মেয়ে আগুন নেভাতে গেলে তারাও দগ্ধ হয়। পরে পানি ঢেলে রুনার শরীরের আগুন নেভানো হয় এবং দ্রুত ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, বাড়িটিতে ছয়টি ঘর রয়েছে। এই ছয়টি ঘরের জন্য আলাদা একটি রান্না ঘর। রান্না ঘরটিতে দরজা এবং জানালা লাগানো ছিলো। সম্ভবত চুলা ঠিক মতো বন্ধ করা হয়নি অথবা সিলিন্ডারের লাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস জমে ছিল। যার কারণে আগুন জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে রুনার শরীরে আগুন ধরে যায়।
নারায়ণগঞ্জের ফায়াস সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, সিলিন্ডারের লাইন অথবা চুলা ঠিক মতো হয়তো বন্ধ না করার কারণে রুমে গ্যাস জমে ছিল। এ সময় রুনা নামে এক নারী রান্নাঘরের চুলা জ্বালাতে গেলে আগুনে দগ্ধ হয়। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে তার স্বামী ও মেয়েও দগ্ধ হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয়।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, সকালের দিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে দগ্ধ অবস্থায় তিনজনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। এদের মধ্যে হারুন অর রশিদ ও মিমের শরীরের ১ শতাংশ এবং রুনা আক্তারের শরীরের ৬২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এদের মধ্যে রুনা আক্তারকে ভর্তি দেওয়া হয়েছে এবং বাকি দুজনকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।