গাজার ভূমি দখলের হুমকি ইসরায়েলের
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান চতুর্থ দিনের মতো চলছে। ইসরায়েলি স্থলবাহিনী উত্তর ও দক্ষিণ গাজায় হামলা আরও জোরদার করেছে। এদিকে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী উপকূলীয় এই উপত্যকার ভূমি দখলের হুমকি দিচ্ছেন।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, ‘হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান আরও তীব্র হবে। সকল সামরিক ও বেসামরিক চাপ প্রয়োগ করা হবে, যার মধ্যে রয়েছে গাজার দক্ষিণাঞ্চল থেকে জনগণকে সরিয়ে নেওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত স্বেচ্ছাসেবী অভিবাসন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন।’
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, কাটজ সেনাবাহিনীকে গাজার অতিরিক্ত এলাকা দখল, জনসংখ্যা সরিয়ে নেওয়া এবং ইসরায়েলি সম্প্রদায় ও সেনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গাজার চারপাশে নিরাপত্তা অঞ্চল সম্প্রসারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
তিনি আরও সতর্ক করে বলেছেন, ‘হামাস গাজায় আটক বন্দিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত ইসরায়েল ভূমি দখল অব্যাহত রাখবে।’
দ্য জেরুজালেম পোস্ট কাটজকে উদ্ধৃত করে জানায়, হামাস যত বেশি সময় নেবে, তত বেশি এলাকা হারাবে, যা ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
তিনি আরও বলেন, ‘যদি জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া হয়, তাহলে ইসরায়েল স্থায়ী নিয়ন্ত্রণের জন্য গাজার আরও বেশি এলাকা দখল করবে।’
উল্লেখ্য, হামাস যুদ্ধবিরতির নতুন চুক্তিতে রাজি না হওয়ায় ইসরায়েল হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় বলে দেশটি দাবি করেছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তিন ধাপের যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মেয়াদ বাড়ানোর পাশাপাশি গাজায় অবশিষ্ট ৫৯ বন্দির বেশিরভাগের মুক্তি চেয়েছিল। তবে তারা চূড়ান্তভাবে যুদ্ধ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দেয়নি।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস বলছে, এটি জানুয়ারিতে স্বাক্ষরিত মূল চুক্তিতে অটল থাকতে চায়। ওই চুক্তি অনুযায়ী, দ্বিতীয় পর্যায়ে অবশিষ্ট বন্দিদের মুক্তি, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল।