ফেসবুকে মন্তব্য নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
২২ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪৩
শেয়ার :
ফেসবুকে মন্তব্য নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ফেসবুকে মন্তব্য নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। 

গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার হায়দারগঞ্জ বাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

রাতে হায়দারগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

এদিকে ঘটনার পর হায়দারগঞ্জ বাজার এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ টহল দিচ্ছে। যেকোনো সময় ফের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। 

আহতরা হলেন লিটন হাওলাদার, হোসেন মাতাব্বর, কাশেম বেপারী, মোস্তফা, মো. হেলাল, মো. কাউছার, ইসারুল্লা, মুর্তজা মাহি, জয়নালসহ ১০ জন। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। তাদের মাথা, হাত ও পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন রয়েছে। 

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক বিএনপির সিনিয়র ৩ নেতা জানান, ফেসবুকে একটি পোস্টে মন্তব্য করা নিয়ে উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল বাছেদ হাওলাদার ও যুগ্ম-আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সর্দারের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর জের ধরে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা ঘটনার সময় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। 

উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সর্দার বলেন, ‘বিএনপির লোকজন সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ এবং মাদকের বিরুদ্ধে মিছিল বের করেন। কিন্তু বাছেদ হাওলাদারের লোকজন বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ওই মিছিলে হামলা করেন। এতে সংঘর্ষ বেধে যায়। হামলায় আমাদের ৬-৭ জন আহত হন।’

তিনি বলেন, ‘হাওলাদার পরিবার (বিএনপি নেতা বাছেদ হাওলাদার) আওয়ামী লীগের সময়ও সুবিধা নিয়েছেন। এখন বিএনপির সময়ও সুবিধা নিচ্ছেন- এ ধরনের একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে আমাদের লোকজনের ওপর এ হামলা করেছেন তারা।’

এ বিষয়ে বিএনপি নেতা আবদুল বাছেদ হাওলাদারের বক্তব্য জানা যায়নি। 

এদিকে তার ছেলে লিটন হাওলাদার বলেন, ‘আমার বাবার নামে মামুন নামের এক ব্যক্তি ফেসবুকে কয়েকটি কমেন্ট করেন। এর প্রতিবাদে লোকজন মিছিল করতে গেলে তারা অতর্কিত হামলা করে আমাদের লোকজনকে জখম করেন।’

রায়পুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব নাজমুল ইসলাম মিঠু বলেন, ‘হাওলাদার ও সরদার পরিবারের দীর্ঘদিনের বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। এটি বিএনপির দলীয় বিরোধে ঘটেনি।’

হায়দারগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে বাজারে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।’