মুরগির দামে দুঃসংবাদ, চড়া চালের বাজার

অনলাইন ডেস্ক
২১ মার্চ ২০২৫, ১২:৫১
শেয়ার :
মুরগির দামে দুঃসংবাদ, চড়া চালের বাজার

ঈদের এখনো অনেক বাকি। এরই মধ্যে দুঃসংবাদ রয়েছে মুরগির বাজারে। গত এক সপ্তাহে কেজিতে সর্বোচ্চ ২০ টাকা দাম বেড়েছে মুরগির। একই সঙ্গে আগের মতোই চড়া দরে বিক্রিত হচ্ছে চাল।

আজ শুক্রবার ঢাকার কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল, কাপ্তান বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, মালিবাগ ও মগবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়। আর সোনালি জাতের মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা দরে। সপ্তাহ খানেক আগে ব্রয়লারের কেজি ছিল ১৯০ টাকার মতো। সে হিসেবে ২০ টাকা বেড়েছে কেজিতে। এ ছাড়া গত সপ্তাহে সোনালি জাতের মুরগি কেনা গেছে ২৮০ থেকে ২৯০ টাকায়। 

এ ছাড়া গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। তবে ডিমের দাম কমতির দিকে। প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়।

সবজির বাজারে এখনো স্বস্তি পাচ্ছেন ক্রেতা। মোটামুটি ৩০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে কেনা যাচ্ছে বেশির ভাগ সবজি। আলুর দর এখন তলানিতে। প্রতি কেজি আলু কেনা যাচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকার মধ্যে। পেঁয়াজের দরও কমছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। রসুনের দরে পরিবর্তন নেই। আগের মতোই আমদানি করা রসুনের কেজি ২০০ থেকে ২১০ এবং দেশি রসুনের কেজি ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে গত চার মাস ধরেই অস্থির চালের বাজার। গত বছর ডিসেম্বরে মিল পর্যায়ে প্রতি বস্তা মিনিকেট চাল ৩৩০০ টাকা বিক্রি হলেও, জানুয়ারিতে বস্তায় ৬০০-৭০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয় ৩৯০০ থেকে ৪০০০ টাকা।

বাজারে সরু চাল ৭২ থেকে ৮৫, মাঝারি চাল ৫৮ থেকে ৬৫ এবং মোটা চাল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

দুই সপ্তাহে মিনিকেট চালের দাম কেজিতে পাঁচ টাকার মতো বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, মিনিকেটের দাম অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় আরেক সরু চাল নাজিরশাইলের দামও কেজিতে এক-দুই টাকা বাড়তি।

খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা। যা ১৫ দিন আগেও ৭৮ টাকা ছিল। আর একটু ভালোমানের মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৯০ টাকা। যা আগে ৮৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বিআর ২৮ জাতের চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা ও মোটা জাতের চালের মধ্যে স্বর্ণা চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৫৬ টাকা।

ভোজ্যতেলের বাজারে বোতলের আকাল এখনো আছে। খোলা সয়াবিন ও পামওয়েলের সরবরাহে ঘাটতি দেখা যায়নি। পাঁচ লিটারের বোতলের সরবরাহ কিছুটা কম রয়েছে। দুই-তিন মাস ধরে বোতলজাত তেলের সরবরাহ ঘাটতি নিয়েই চলছে বাজার।