লক্ষ্মীপুরে টিসিবির পণ্য নিয়ে হট্টগোল
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে টিসিবি পণ্য কেনা নিয়ে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩ শতাধিক নারী-পুরুষকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে। বিকেল থেকে রাত পুর্যন্ত অপেক্ষা করেও পণ্য কিনতে ব্যর্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে হয় তাদের।
জানা যায়, এদিন ইফতার করতে বাড়িতে না গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন অনেকেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা থেকে রায়পুরের কেরোয়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়। স্মার্টকার্ডধারী এক হাজার পরিবারের জন্য পণ্যটি বরাদ্দ হয়। কিন্তু পণ্য কেনার জন্য কার্ডছাড়া ব্যক্তিরাও লাইনে দাঁড়ান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টিসিবির পণ্য কিনতে কার্ড ছাড়াই তিন শতাধিক নারী-পুরুষ ভিড় করেন। অনেকে দুপুর থেকে ইউনিয়ন পরিষদে এসে রাত ৮ টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। লাইনে দাঁড়িয়ে অনেকে ইফতার করে রোজা ভেঙেছেন। কিন্তু স্মার্ট কার্ড ছাড়া পণ্য দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয় পরিবেশক। এতে অপেক্ষায় থাকা নারী-পুরুষ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে তারা হট্টগোল শুরু করেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে বুঝিয়ে শান্ত করেন। এক পর্যায়ে খালি হাতেই বাড়ি ফিরতে হয় স্বল্প আয়ের মানুষগুলোকে।
টিসিবির পরিবেশক (ডিলার) মেসার্স দারোগা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. নাছির জানান, কেরোয়া ইউনিয়নে স্মার্ট কার্ডধারী ১০১৭টি পরিবারের জন্য পণ্য বরাদ্দ। যারা কার্ড নিয়ে আসতে পেরেছেন, তাদের কাছে পণ্য বিক্রি করতে পেরেছি। দুপুর থেকেই লাইনে থাকা লোকজনকে বলে দেওয়া হয়েছিল, স্মার্ট কার্ড ছাড়া পণ্য বিক্রি করা হবে না। কিন্তু কেউ কথা শোনেননি। অনেকেই না বুঝে তাদের এনআইডির স্মার্ট কার্ড নিয়ে এসেছে। কিন্তু নির্দিষ্ট কার্ড ছাড়া পণ্য বিক্রি সম্ভব নয়। ১০১৭ পরিবারের জন্য পণ্য নিয়ে আসলেও মাত্র ৪৭০ জনের কাছে পণ্য বিক্রি করতে পেরেছি। বাকি পণ্য থেকে গেলেও সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। এক পর্যায়ে অপেক্ষমান লোকজন পণ্যের জন্য ঝামেলা সৃষ্টি করে।
উল্লেখ্য, টিসিবির প্রতি প্যাকেজে মূল্য ৬৬০ টাকা। এর মধ্যে চিনি ১ কেজি, তেল ২ লিটার, চাল ৫ কেজি, ছোলা ২ কেজি ও মুসুর ডাল ২ কেজি।