ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার মামলা
বরগুনার আমতলী উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইমরান খাঁনের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের উপজেলা শাখার এক নেত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। গত সোমবার বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলাটি করা হয়।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার মামলাটিকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক দাবি করে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে মানববন্ধন হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আমতলী উপজেলা, পৌর শাখা, কলেজ শাখা ও বিভিন্ন স্কুল শাখার উদ্যোগে এ মানববন্ধন করা হয়। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের আমতলী উপজেলা শাখার এক নেত্রী গত ৫ আগস্টের পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের নেতা বনে যান। গত সোমবার বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে উপজেলা ছাত্রদল সদস্য সচিব ইমরান খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা করেছেন। আদালতের বিচারক ওই মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এজাহারের নির্দেশ দিয়েছেন।
উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. সোয়েব ইসলাম হেলালের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তারিকুল ইসলাম টারজান, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব জালাল আহমেদ খান, যুবদল সদস্য সাবেক কাউন্সিলর সামসুল হক চৌকিদার, উপজেলা কৃষকদল সভাপতি জাহাঙ্গির আলম, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক এনামুল হক সোহাগ, কলেজ ছাত্রদল সাবেক আহ্বায়ক রাজিব মৃধা, উপজেলা ছাত্রদল যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাবুল ইসলাম, কলেজ ছাত্রদল সভাপতি ইমন মিয়া ও ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক মহিমা বিশ্বাস প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা নিষিদ্ধ সংগঠন নেত্রীর করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মো. ইমরান খান বলেন, ‘আমাকে হয়রানি করতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেত্রী মিথ্যা মামলা করেছেন। ছাত্রলীগ নেত্রী আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সেজে নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন। তার অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তিনি আমার বিরুদ্ধে এ বানোয়াট মামলা করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রলীগ নেত্রীর বাবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।’
ছাত্রলীগ নেত্রী বলেন, ‘আমি ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা করিনি। আমি মামলা করেছি ব্যক্তি ইমরান খানের বিরুদ্ধে। তিনি আমাকে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগে ছাত্রলীগ করতাম। পদত্যাগ করেছি।’
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, মামলার নথি হাতে পেয়েছি। আদালতের নির্দেশ মতে মামলাটি এজাহারভুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
