মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় চাকরি, পুতুলের বিরুদ্ধে মামলা
মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় (ডব্লিউএইচও) চাকরি ও সূচনা ফাউন্ডেশনের নামে চাপ দিয়ে ২০টি ব্যাংক থেকে ৩৩ কোটি টাকা আদায়ের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।
প্রথম মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (সাবেক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) শিক্ষকতা না করেও মিথ্যা ও ভুয়া অভিজ্ঞতা দেখিয়ে আবেদন করেন।
ওই আবেদনে পুতুল উল্লেখ্য করেন, তিনি ২০২২ সাল থেকে ২০২৩ সালে সিডি দাখিলের সময়কালে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অটিজম এবং মানসিক সমস্যা সংক্রান্ত কারিগরি বিশেষজ্ঞ হিসেবে শিক্ষকতা করেন। এতে তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিয়োগও পান। যা দন্ডবিধির ৪২০/৪৬৮/৪৭১ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
অপর মামলার এজাহারে বলা হয়, শেখ হাসিনা কন্যা ও সূচনা ফাউন্ডেশনের সাবেক চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এক্সিম ব্যাংক এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস ও চেয়ারম্যানের সাবেক সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের সদস্যভুক্ত ব্যাংকসমূহের সিএসআর ফান্ড থেকে বিধিবহির্ভূতভাবে সূচনা ফাউন্ডেশনের নামে ২০টি ব্যাংক হিসেবের মাধ্যমে ৩৩ দশমিক ০৫ কোটি টাকা প্রদানে বাধ্য করে। যা ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এর ৫(২) ধারা ও দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় শান্তিযোগ্য অপরাধ।
আদায় করা অর্থ কীভাবে কোন খাতে খরচ হয়েছে সূচনা ফাউন্ডেশনে তার কোনো রেকর্ডপত্র পায়নি দুদক। এর পরিপ্রেক্ষিতে অপব্যয় এবং আত্মসাৎ দণ্ডবিধি এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?