ঢাকার দুই সিটিতে ১২৯ প্রশাসক নিয়োগ হচ্ছে!
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১২৯ ওয়ার্ডের সব কটিতে প্রশাসক নিয়োগ হচ্ছে- এমন খবর সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনেও আলোচনা-সমালোচনা চলছে। গত মঙ্গলবার রাতে সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের সামি নিজের ফেইসবুকে সৈয়দ সামির ফাইয়াজ নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর একটি পোস্ট শেয়ার করার পর ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১২৯ ওয়ার্ডে প্রশাসক নিয়োগ বিষয়টি সামনে আসে। বিতর্কের মাঝে গতকাল বুধবার ফেইসবুকে এক পোস্টে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানান, এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তার ফেসবুকে পোস্ট বলেছেনÑ স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ওয়ার্ড প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এখনও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন। নির্বাচনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পূর্বে প্রশাসক নিয়োগের প্রশ্ন অবান্তর।
আসিফ মাহমুদ উল্লেখ করেন, জনগণের প্রাত্যহিক নানা সেবার প্রয়োজনে স্থানীয় সরকারের ওপর নির্ভরশীল। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, সিটি ও পৌর ওয়ার্ডগুলোয় জনপ্রতিনিধি না থাকায় এসব সেবা ব্যহত হচ্ছে। তাই জনগণের প্রাত্যহিক দুর্ভোগ নিরসনে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে বারবার বলছি। তবে এ বিষয়ে সরকারের চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নির্বাচনের মাধ্যমে প্রকৃত জনপ্রতিনিধি দিয়ে স্থানীয় সরকার পরিচালনাই সর্বোত্তম।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের ফাইয়াজের পোস্ট শেয়ার করে লিখেছেন, ‘ঢাকা মহানগরীর ১২৯টি ওয়ার্ডেই বিশেষ একটি চক্রের যোগসাজশে প্রশাসক/কমিশনার নিয়োগের পাঁয়তারা চলছে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে এভাবে নিজ পছন্দের লোক ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বসালে দেশে একটা নতুন অস্থিরতার ক্ষেত্র তৈরি হবে।’
ফাইয়াজের যে পোস্টটি তিনি শেয়ার করেছেন, সেখানে কয়েকটি স্ক্রিনশট যুক্ত করা হয়েছে। ফাইয়াজের ওই পোস্টে বলা হয়েছেÑ একদল নিজেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সংগঠক হিসেবে দাবি করছেন, আগে তারা জাতীয় নাগরিক কমিটিতে ছিলেন। এখন তারা ওয়ার্ডের অসচ্ছলদের তালিকা নিচ্ছেন ও একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য চাচ্ছেন।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
ফাইয়াজের বলেছেনÑ তারা এ-ও বলছেন যে, ঈদ সামনে রেখে সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় এনসিপির সহযোগিতায় অসচ্ছল ভোটারদের ঈদ উপলক্ষে অনুদান দেওয়া হবে; সিটি করপোরেশন বরাদ্দ দেবে, অর্থায়ন করবে। বাস্তবায়ন করবে নাগরিক পার্টি।
তবে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক মো. আরিফুর রহমান তুহিন পুরো বিষয়টিকে মিডিয়া ট্রায়ালের মতো চলছে বলে তুলে ধরার পাশাপাশি এটাকে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেখছেন। প্রশাসক নিয়োগের বিষয়টি পুরোপুরি সরকারের এখতিয়ার। কাকে বসাবে না বসাবে এটা তাদের ব্যাপার। দল হিসেবে এনসিপি এ ধরনের কার্যক্রমের সাথে কোনোভাবেই জড়িত না।
আরিফুর রহমান আরও বলেন, যদি কেউ প্রমাণ দেখাতে পারে, ওপেন চ্যালেঞ্জ আমাদের পক্ষ থেকে। এনসিপির এত সময় নাই, কোথায় কাকে নিয়োগ দেবে, এটা দেখবে। সামাজিক মাধ্যমে কেউ একজন বলল, অনেক কথাই তো বলতে পারে, ফেইসবুকে কে কী বলল, এটা বিষয় না। সত্য তথ্য নিয়ে হাজির হোক কেউ, যে এর সাথে এনসিপি জড়িত।