দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে হত্যা করা হয়েছে, বললেন ছেলে
আলোচিত ইসলামি বক্তা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তার ছেলে মাসুদ সাঈদী।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পিরোজপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন পিরোজপুর-১ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মাসুদ সাঈদী।
মাসুদ সাঈদী বলেন, ‘আমার পিতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার জুডিসিয়াল ও মেডিকেল কিলিং করে মেরে ফেলেছে। যারা আমার বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছে তারা অবশ্যই শাস্তি পাবে। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। যারা আমার বাবাকে হত্যা করেছে, তারা আওয়ামী লীগের লোক। এখনো তারা সরকারের বিভিন্ন পদে আসীন। তাদের কারণে আমরা আমাদের বাবার হত্যার সমস্ত ডকুমেন্ট হাতে পাচ্ছি না। সব ডকুমেন্ট হাতে পেলেই আমরা দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা করব।’
মাসুদ সাঈদী আরও বলেন, ‘আমি বা আমাদের সংগঠন পরিবারতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়। পরিবারের সিদ্ধান্তে আমরা রাজনীতি করি না। সংগঠন যাকে যোগ্য মনে করে তাকেই মনোনয়ন দেয়। জামায়াত ইসলামী আমাকে ও আমার ভাই শামীম সাঈদীকে যোগ্য মনে করে পিরোজপুরের দুটি আসনে মনোনয়নের ঘোষনা দিয়েছে।’
জামায়াতের প্রার্থী বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ এ দেশের রাজনীতিক তথা সাধারণ মানুষের বাক-স্বাধীনতা ওভোটাধিকার হরণ করেছিল। আওয়ামী লীগ আমাদেরকে নির্বাচন করতে দেয়নি। দেশের মানুষ ভোটাধিকার ও স্বাধীনতার জন্য ১৭ বছর লড়াই করেছে। ৭১-এর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয়ের পর এ দেশের মানুষের সবচেয়ে বড় বিজয় হচ্ছে ২৪-এর ৫ আগস্টের বিজয়।’
বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত হবে। তবে জামায়াত ইসলামী আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের মতো সরকার বা বিরোধী দল চায় না। জামায়াত চায় দেশে জনগনের ম্যান্ডেট নেওয়া সরকার ও একটি শক্তিশালী বিরোধী দল থাকুক।’
মতবিনিময় সভায় পিরোজপুরে কর্মরত সাংবাদিক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রব, জেলা সেক্রেটারি মো. জহিরুল হক, পিরোজপুর পৌর আমির মো. আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।