অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো সংস্কার ৬ মাসেও দৃশ্যমান হয়নি: আমিনুল
অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো সংস্কার ৬ মাসেও দৃশ্যমান হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহ্বায়ক আমিনুল হক।
আজ রবিবার দুপুরে রাজধানীর দক্ষিণখান থানার সামনে বালুর মাঠে দক্ষিণখান থানা বিএনপির কর্মীসভা ও রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফার কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি অন্তবর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা গত ছয় মাসেও বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে সংস্কারের কথা বলছেন। এখনও পর্যন্ত কোনো সংস্কার জাতির সামনে দৃশ্যমান নেই। কারণ এখনও বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসররা বহাল তবিয়তে বসে আছে। সেই স্বৈরাচারদেরকে রেখে আপনারা কিভাবে সংস্কারের কথা বলেন? আগে স্বৈরাচার নির্মূল করেন। অপসারণ করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে সংষ্কার করেন। এমনিতেই বাংলাদেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়ে যাবে।
এ সময় তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, এখন পর্যন্ত আপনারা যারা সংস্কারের নামে নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আপনাদের মাথায় কি ঘুরছে আমরা জানি না! বুঝতেছি না! কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ আপনাদেরকে বুঝতে বেশি দিন সময় দিবে না। কারণ আপনারা যদি ক্ষমতার মোহে সংস্কারের নামে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করেন, বাংলাদেশের জনগণ এটা কখনোই মেনে নিবে না।
বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশা এই বছরের ভিতরেই একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় উল্লেখ করে আমিনুল হক অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নেন। বাংলাদেশের জনগণের যে প্রত্যাশা, সেই প্রত্যাশাকে সামনে রেখে আপনারা দ্রুত সময়ের ভিতরে একটা নির্বাচন দেন এবং সেই নির্বাচিত সরকার বাংলাদেশের সকল অবকাঠামো, রাষ্ট্রীয় কাঠামো মেরামতের মাধ্যমে পরিপূর্ণ সংস্কার করবে।
এ সময় তিনি বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনাসহ তার অবৈধ মন্ত্রী, এমপিরা যারা বিদেশে পালিয়ে গেছে এবং দেশের ভিতরে যারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। কারণ বাংলাদেশে কোনো স্বৈরাচারের স্থান হতে পারে না। বাংলাদেশ থেকে আমরা পরিপূর্ণভাবে স্বৈরাচার মুক্ত করব।
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, বাংলাদেশে পরিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে দ্রুত একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন। সেই সুষ্ঠু নির্বাচনে এদেশের মানুষ নিরপেক্ষভাবে স্বচ্ছভাবে, সুন্দরভাবে তার ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। জনগণের সরকারই একমাত্র পারবে দেশে পরিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে, দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করতে এবং এ দেশের জনগণের দাবি আদায় করতে।
এ সময় তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফার রুপরেখার মাধ্যমেই একটি আগামীর সুন্দর সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
দক্ষিণখান থানা বিএনপির আহ্বায়ক হেলাল তালুকদারের সভাপতিত্বে থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম বাবলুর সঞ্চালনায় কর্মশালায় বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব মো. মোস্তফা জামান, মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, এবিএমএ রাজ্জাক, গাজী রেজওয়ান উল হোসেন রিয়াজ, হাজী মো. ইউসুফ, আফাজ উদ্দিন, মাহাবুব আলম মন্টু, মহানগর সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, আলী আকবর আলী, আব্দুস সালাম সরকার, মোতালেব হোসেন রতন, রফিকুল ইসকাম খান, আশরাফুজাহান জাহান, রেজাউর রহমান ফাহিম, ডা. এ কে এম কবির আহমেদ রিয়াজ, মনিরুল আলম রাহিমী, হাজী নাসির উদ্দিন, নুরুল হুদা ভূঁইয়া নূরু, এম এস আহমাদ আলী, জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, হান্নান ভূঁইয়া, তাসলিমা রিতা, শ্রমিকদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব কামরুজ্জামান, জাসাস ঢাকা মহানগর সদস্যসচিব আনোয়ার হোসেন আনু, মহিলাদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব অ্যাড. রুনা লায়লা, দক্ষিণখান থানা বিএনপি যুগ্মআহ্বায়ক দেওয়ান মো. নাজিম উদ্দীন, আনোয়ার হোসেন জমিদার, মতিউর রহমান মতি, গুলশান থানা বিএনপি যুগ্মআহ্বায়ক আসাদুজ্জামান আসাদ, উত্তরাপূর্ব থানা বিএনপির আহ্বায়ক শাহআলম, যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল হক, শহিদুল ইসলাম সুমন, নজরুল ইসলাম খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. এফ ইসলাম চন্দন, তারেক হাসান, জাহিদ মাস্টার, খিলক্ষেত থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সিএম আনোয়ার হোসেন, বিমানবন্দর থানা বিএনপির আহ্বায়ক মনির হোসেন ভূঁইয়া, যুগ্মআহ্বায়ক মহিউদ্দিন তারেক, যুগ্ম আহ্বায়ক মন্জুর হোসেন পাটোয়ারী, মহাম্মদপুর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মীর মো. কামাল হোসেন, তুরাগ থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী জহিরুল ইসলাম, থানা আহ্বায়ক কমিটি সদস্য আব্দুল আলী, উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন শিশির প্রমুখ।
এরপরে আমিনুল হক উত্তরা ও খিলক্ষেত এলাকার ৫টি স্পটে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন।