রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ কর্মীকে গুলি করে হত্যা
রাঙামাটিতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এক কালেক্টরকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ রবিবার সকালে খামার পাড়ার তৈমিদুং এলাকায় একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাকে গুলি করলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
নিহত নির্মল খীসা (৩২) জেলার নানিয়ারচর উপজেলার নানিয়ারচর ইউনিয়নের তৈ-চাকমা গ্রামের সুনীল বিহারী খীসার ছেলে।
এদিকে হত্যাকান্ডের জন্য জনসংহতি সমিতকে দায়ী করেছে ইউপিডিএফ।
এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফের রাঙামাটি জেলা সংগঠক সচল চাকমা জানিয়েছেন, আজ রবিবার সকাল ৯টার দিকে সময় রাঙামাটি সদর উপজেলার সাপছড়ি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের খামার পাড়ায় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা জনসংহতি সমিতি (জেএসএস সন্তু) গ্রুপের ৬-৭ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী ইউপিডিএফ সদস্য নির্মল খীসা হত্যা করেছে।
বিবৃতিতে তিনি হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন হলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শেখ হাসিনার দোসর সন্তু লারমার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। রাষ্ট্রীয় বিশেষ মহল এখনো সন্তু লারমাকে মদদ দিয়ে খুন-খারাবি চালিয়ে যাচ্ছে। খামার পাড়ায় ইউপিডিএফ সদস্যকে হত্যার ঘটনাও তারই অংশ। অবিলম্বে নির্মল খীসার হত্যাকারীদেরসহ হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা সন্তু লারমাকে আঞ্চলিক পরিষদ থেকে অপসারণ করে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান সচল চাকমা।
এ বিষয়ে জানতে সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির একাধিক নেতার সাথে যোগাযোগ করেও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রাঙামাটি কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহেদ উদ্দিন জানান, সাপছড়িতে নিহত ইউপিডিএফ কর্মী নির্মল খীসার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।
