ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ৩ জন আটক, একজনের বাড়ি ভাঙচুর
সুনামগঞ্জে পৃথক ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ৩ যুবককে আটক করেছে পুলিশ। এসব ঘটনায় এক অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর করেছে গ্রামবাসী।
জেলার দিরাই ও ছাতক উপজেলায় এক কিশোরী ও ৯ বছরের এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটে।
দিরাই উপজেলায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে আটক হওয়া দুই যুবক হলেন, উপজেলার জকিনগর গ্রামের সিএনজি চালক মো. ইমন খান (২৩) ও মিঠু মিয়া (২৫)। ছাতকে মাদ্রাসার ভেতরে ৯ বছল বয়সী এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় আটক হওয়া যুবক হলেন, ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের জহিরপুর গ্রামের সাবুল মিয়া (৩৫)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কিছু কাপড় কেনার জন্য দিরাই উজেলার রফিনগর গ্রামের ওই কিশোরীসহ তিনজন দিরাই বাজারে এসেছিল। অন্য দুজনের কেনাকাটা শেষ হওয়ায় তারা আগেই চলে যান। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই কিশোরী কেনাকাটা শেষে বাড়িতে যাওয়ার জন্য দিরাই বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠে। এ সময় আরও দুই যুবক দুই দিকে ওঠে পড়ে। এরপর অটোরিকশা কিছুদূর যাওয়ার পরই মেয়েটি দেখতে পায় তাকে নিয়ে সুনামগঞ্জ শহরের দিকে যাচ্ছে। তখনই অটোরিকশা থামাতে বলার পরই পাশে থাকা দুইজন তাকে ঝাপটে মুখ চেপে ধরে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। তখন মেয়েটি তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করে। এভাবে ধস্তাধস্তির একপর্যায় অটোরিকশা দিরাই-সুনামগঞ্জ সড়কের গণিগঞ্জ এলাকায় পৌঁছে। এই সময় ধাক্কা দিয়ে নিজেকে কোনো রকমে ছাড়িয়ে মেয়েটি চলন্ত অটোরিকশা থেকে লাফ দিয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। তার ডান চোখ, কপাল, গাল, হাত থেতলে গেছে। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন। পরে রাত ১১টায় তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘কিশোরীকে অটোরিকশায় করে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় সিএনজি চালকসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে এবং আদালতে সোপর্দ করা হবে।’
এদিকে শুক্রবার সকালে ছাতক উপজেলার জহিরপুর গ্রামে মাদ্রাসায় পড়ুয়া ৯ বছরের এক ছাত্রীকে মাদ্রাসার ভেতরে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন একই গ্রামের যুবক সাবুল মিয়া। পরে শিশুটি তার বাবাকে গিয়ে জানালে রাতে সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সালিস বসার আগেই বিষয়টি জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী সাবুল মিয়ার বাড়ি ভাঙচুর করে। ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে পুলিশ রাতেই সাবুল মিয়াকে আটক করে।
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান আকন্দ বলেন, ‘ঘটনাটি রাতে সালিসে বসে শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু সালিস বসার আগে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ায় লোকজন বিক্ষুব্দ হয়ে অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর করেছে। খবর পেয়ে রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সাবুল মিয়াকে আটক করা হয়েছে।