‘অতি উদার হইতে যাইয়েন না, এত সুশীলতা ভালো না’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, শুধু একটা কথা-ই বলবো। অতি উদার হইতে যাইয়েন না, এত সুশীলতা ভালো না।
নিজের ফেসবুক আইডিতে গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এক পোস্টে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
মাসউদ লেখেন, এটা হাসিনার তৈরি করে দেওয়া মিডিয়া এস্টাবলিশমেন্ট। এই ফ্যাসিবাদী এস্টাবলিশমেন্ট যেহেতু ভাঙতে পারছেন না। দয়া করে, সুশীলতা দেখাতে গিয়ে এর ভীত আরও শক্ত করে দিয়েন না।
আব্দুল হান্নান লেখেন, নিজেরা তো ভুগবেনই, পুরো জাতিকেও ভোগাবেন। আসলেই যদি আগামী প্রজন্মের জন্য, নিজেদের জন্য এই ভেঙে পড়া রাষ্ট্রব্যবস্থা পূনর্গঠনের উদ্দেশ্যে রাজনীতি করতে চান, অবশ্যই অবশ্যই হাসিনার তৈরি মিডিয়া স্টাবলিশমেন্ট, প্রশাসনিক (সামরিক-বেসামরিক) এস্টাবলিশমেন্ট, এমনকি পলিটিক্যাল এস্টাবলিশমেন্টও ভেঙে নতুনভাবে গড়তে হবে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
তিনি আরও লেখেন, না হয়, যে লাউ-সেই কদুই থেকে যাবে। পরবর্তী প্রজন্ম দুনিয়ায় আসার আগ থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে আরেকটি রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের।
তবুও মুক্তি মিলবে না, যেমনটা চব্বিশেও মিললো না।
পোস্টটি তিনি এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহকে ট্যাগ করেছেন।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
এর আগে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের লাইভ অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমকে গালি দেওয়ার ঘটনায় সংবাদ উপস্থাপিকাসহ তিনজনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে মর্মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে। পরে সেই সংবাদ উপস্থাপিকার চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার অহ্বান জানিয়েছিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজেই।
ফেসবুক পোস্টে হাসনাত লেখেন, এখন টিভির সাংবাদিকদের চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। আমরা এই দ্বিমত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্যই আন্দোলন করেছিলাম। আপনার এই গালির স্বাধীনতার জন্যই আন্দোলন করেছিলাম। শুধু মত প্রকাশ নয়, দ্বিমত প্রকাশও অব্যাহত থাকুক।