ধর্ষণের দায়ে চাকরি হারানো পুলিশ সদস্য আবারও ধর্ষণ মামলার আসামি
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ধর্ষণের দায়ে চাকরি হারানো পুলিশ সদস্য আব্দুল হান্নান মন্ডলের (৬৫) বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে থানায় মামলা হয়েছে। তবে ঘটনার পাঁচদিন অতিবাহিত হলেও আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
অভিযুক্ত আব্দুল হান্নান মন্ডল উপজেলার খামার বালুয়া গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে। হান্নান পুলিশের কনষ্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু ধর্ষণের দায়ে কয়েক বছর আগে তিনি পুলিশের চাকরি হারান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কিশামত কেওয়াবাড়ি এলাকার প্রতিবেশী গৃহবধূর বাড়িতে নানা শ্বশুর হিসেবে যাতায়াত করতেন হান্নান মন্ডল। হান্নান নানা প্রলোভন দিয়ে ওই গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। ওই গৃহবধূর স্বামী চায়ের দোকানে কাজ করেন। গত ৭ মার্চ ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ ইফতার করে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় আসামি আবদুল হান্নান মন্ডল সুযোগ বুঝে বাড়িতে প্রবেশ করেন। কিছু বোঝার আগেই ওই গৃহবধূর মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ শেষে আসামি মুখ ছেড়ে দিলে চিৎকার করতে থাকেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ। পরে আশপাশের লোকজন আসলে মান্নান পুলিশ পালিয়ে যান। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ওই গৃহবধূর স্বামীকে চাপ দেওয়া হয়।
এদিকে ঘটনার পর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় ব্যক্তিরা ধর্ষণের বিষয়টি অর্থের বিনিময়ে ধামাচাপার দেওয়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে ওই গৃহবধূকে জোরপূর্বক সালিস নামায় স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে তুলেও নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে ভুক্তভোগী পরিবার। খবর পেয়ে পুলিশ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে। হান্নান মন্ডল এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ার তার অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কেউ কথা বলেন না।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে গত ৯ মার্চ পলাশবাড়ী থানায় আবদুল হান্নানকে আসামি করে মামলা করেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুলফিকার আলী ভূট্টো মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে। ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। মামলার পর আসামি পলাতক রয়েছে। তবে আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।