রাখাল রাহার বিরুদ্ধে ৪০০ কোটি টাকা বাণিজ্যের তথ্য ভুয়া

অনলাইন ডেস্ক
১১ মার্চ ২০২৫, ১৬:০৮
শেয়ার :
রাখাল রাহার বিরুদ্ধে ৪০০ কোটি টাকা বাণিজ্যের তথ্য ভুয়া

পাঠ্যবই ছাপার কাগজ কেনার সঙ্গে পাঠ্যবই সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক লেখক ও গবেষক সাজ্জাদুর রহমান ওরফে রাখাল রাহার কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান। এ ছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা গাজি সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরও এনসিটিবির কোনো কোনো কাজে জড়িত নন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন এনসিটিবি চেয়ারম্যান।

ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, রাখাল রাহার বিরুদ্ধে এনসিটিবির পাঠ্যবই ছাপার কাগজ ব্যবসায়ে ৪০০ কোটি টাকা কমিশন বাণিজ্য করার যে তথ্য প্রচার করা হচ্ছে, তা নিছক অপপ্রচার। পাঠ্যবইয়ের কাগজই কেনা হয়েছে ১০২ কোটি টাকার মতো। সেখানে ৪০০ কোটি টাকার বাণিজ্য কীভাবে হবে, সেটা একেবারেই বোধগম্য নয়।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, কাগজ কেনায় কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে একটি গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা ভুয়া এবং প্রোপাগান্ডা। এ বছরের পাঠ্যবই পরিমার্জন কমিটিতে রাখাল রাহা দায়িত্ব পালন করেছেন। টেন্ডার, পাঠ্যবই ছাপা, কাগজ কেনার কাজগুলোতে তার সম্পৃক্ততা নেই। এসব কাজ হয়েছে সম্পূর্ণ নিয়ম মেনে। এনসিটিবির স্ব স্ব দপ্তরের কর্মকর্তারা নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি বলেন, শিক্ষা ও শিক্ষাক্রম নিয়ে রাখাল রাহার দখল আছে বলেই সদ্য সাবেক শিক্ষা উপদেষ্টা (ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ) তাকে পাঠ্যবই পরিমার্জনের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। ৪১ সদস্যের মধ্যে তিনি একজন। রাখাল রাহা স্বপ্রণোদিত হয়ে এসেছেন, কাজ করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান

এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজমসহ পরিমার্জনের সঙ্গে অনেকেই ছিলেন, কোনো কিছুর জন্য এককভাবে রাখাল রাহার দায় নেই। ফেসবুক তিনি তার নিজস্ব বক্তব্য লেখেন, শেয়ার করতে পারেন। আমরা মনে করি, ফেসবুক পোস্ট রাখাল রাহার ব্যক্তিগত বিষয়। এর সঙ্গে কাজের কোনো বিষয় জড়িত নয়।

চলতি বছর বই ছাপার খরচের বিষয়ে ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, প্রতি বছর শুধু নবম শ্রেণি পর্যন্ত বই ছাপা হয়। নবম ও দশম শ্রেণির বই একই থাকে। এবার দশম শ্রেণির জন্যও বই ছাপতে হয়েছে। ফলে দশম শ্রেণির পাঁচ কোটি ৬৯ লাখ অতিরিক্ত বইয়ের জন্য ৫২৫ কোটি টাকা অতিরিক্ত লেগেছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিটিবির সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) অধ্যাপক ড. রিয়াদ চৌধুরী, সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী, সদস্য (অর্থ) মোহা. নায়েব আলী, সচিব শাহ্ মুহাম্মদ ফিরোজ আল ফেরদৌস প্রমুখ।