নেত্রকোনায় গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিখোঁজ ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার

মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
১০ মার্চ ২০২৫, ২২:৫৩
শেয়ার :
নেত্রকোনায় গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিখোঁজ ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার

নেত্রকোনার হাওরাঞ্চল খালিয়াজুরীতে জগন্নাথপুর ও রসুলপুর গ্রামবাসীর সঙ্গে পোলোবাইচকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ঘটনায় নিখোঁজ হওয়া ৫ জনের মধ্যে তিন জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। আজ সোমবার দুপুরে জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার ধনু নদীর পৃথক স্থান নাওটানা ও রসুলপুর ঘাট এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত শনিবার হাওরের বিভিন্ন জলমহালে কয়েক হাজার পোলোবাইচকারীরা মাছ ধরতে গেলে ওই দুই গ্রামবাসীর সঙ্গে তারা সংঘর্ষে জড়ায়।

নিহতরা হলেন মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাগজান গ্রামের মৃত কুদ্দুছ মেয়ের ছেলে রোকন মিয়া (৫০), আটপাড়া উপজেলার শ্বরমুশিয়া ইউনিয়নের রূপচন্দ্রপুর গ্রামের রুস্তম আলির ছেলে ছহীদ মিয়া (৫০), কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নের রোয়াইলবাড়ি গ্রামের ফজলু মিয়া ছেলে হৃদয় (৩০)।

সংঘর্ষের সময় উভয়পক্ষের পাঁচ শতাধিক আহত হয়েছিল। আত্মরক্ষার্থে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পাঁচজন নিখোঁজ হয়।

এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণে নিতে ৫১ জনকে খালিয়াজুরী থানার পুলিশ আটক করে। পরের দিন ৯ মার্চ আটকদের স্থানীয় নেতাকর্মীদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়। এরপর আজ সোমবার পুনরায় মদন, কেন্দুয়া ও আটপাড়ার লোকজন থেকে সংঘর্ষে জড়াতে গেলে প্রশাসন ও যৌথবাহিনী নিয়ন্ত্রণ করে।

 

 

খালিয়াজুরী উপজেলার লেপসিয়া ফাঁড়ির নৌ-পুলিশের আইসি জাহাঙ্গীর হোসেন খান মদন উপজেলার তিয়শী ইউনিয়নের বাগজান গ্রামের রোকনের লাশটি রসুলপুরঘাট থেকে উদ্ধার করেন। কয়জন নিখোঁজ ছিল এটা এখনো বলা যাচ্ছে না। 

 

ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের লিডার নুরুল ইসলাম বলেন, ধনু নদীর নাওটানা ঘাট থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরেকজনের মরদেহ একই নদী রসুলপুর ঘাটের পাশ থেকে পুলিশ উদ্ধার করে।

খালিয়াজুরীর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন বলেন, পোলোবাইচকারী ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নিখোঁজের তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।